ইউনূস সরকারের পতন ঘটাতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান হাসিনার

১৭ জুলাই : অশান্ত বাংলাদেশ।  বুধবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ জেলা। একদিকে টুঙ্গিদিঘিতে শেখ মুজিবের মাজার রক্ষায় পুলিশ ও সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামি লিগের একাধিক কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে তাদের ঘিরে হামলা, এই দুইয়ের জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বাংলাদেশের এই জেলা। আওয়ামী লিগ তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে দাবি করেছে, মৃতের সংখ্যা ৭। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করেছেন আওয়ামী লিগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠক করেন হাসিনা। সেখানে সাধারণ মানুষের উপর সেনা ও পুলিশের অত্যাচারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তার সঙ্গেই ইউনূস সরকারের পতন ঘটাতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি গোপালগঞ্জের ঘটনার জন্য এনসিপি’কে দায়ী করে হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবনে শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। এনসিপির চাঁদাবাজি, মাস্তানির জন্য মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এনসিপির জন্য গোপালগঞ্জে সাতটা প্রাণ ঝরে গেল। আর দোষ দেওয়া হল ছাত্র লিগের উপর।’

ইউনূস সরকার ক্ষমতায় এসে ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লিগের ভোটে লড়ার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার মতো অগণতান্ত্রিক কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশের গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রী। গোপালগঞ্জের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দেশবাসীর উদ্দেশে হাসিনার বার্তা, ‘যাঁরা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করেন প্রত্যেককে অনুরোধ, এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য।’ ইউনূস সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ডাক দিয়েছেন হাসিনা। হাতে যা আছে, তা নিয়ে পথে নামার ডাক দিয়েছেন তিনি। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলিগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লিগ, জাতীয় শ্রমিক লিগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলিগের তরফে ২০ জুলাই সেদেশে হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সংগঠনগুলি।

Spread the News
error: Content is protected !!