বিটিসির মুখ্য কার্যনির্বাহী হিসেবে শপথ নিলেন হাগ্রামা মহিলারী
বরাক তরঙ্গ, ৫ অক্টোবর : বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল (বিটিসি)-এর মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য (CEM) হিসেবে শপথ নিলেন বিপিএফ)-এর নেতা হাগ্রামা মহিলারী। রবিবার কোকরাঝাড়ের বড়োল্যান্ড সচিবালয় খেলার মাঠে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বড়ো পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ)-এর নেতা হাগ্রামা নেন। একই মঞ্চে প্রাক্তন মন্ত্রী রিহন দৈমারীয়াও উপ-মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য (ডেপুটি সিইএম) হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্য, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা এবং ত্রিপুরার তিপ্রা মথার নেতা প্রদ্যোৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা।

উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ বছর পর আবারও বিটিসি-র শাসনে ফিরল হাগ্রামা মহিলারীর নেতৃত্বাধীন বিপিএফ। এই নির্বাচনে বিপিএফ ৪০-সদস্যবিশিষ্ট পরিষদে এককভাবে ২৮টি আসন জয় করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। অন্যদিকে, বিজেপি মাত্র ৫টি এবং ইউপিপিএল ৭টি আসনে সীমাবদ্ধ থেকেছে।
বিপিএফ-এর এই জয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মন্তব্য করেছিলেন যে হাগ্রামা মহিলারীর দল বিপিএফ ইতিমধ্যেই এনডিএ-র অংশ। তাই বিটিসি-র সব ৪০টি আসনই এনডিএ-র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে শপথ গ্রহণের আগে হাগ্রামা মহিলারী এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি স্পষ্ট করে জানান যে, যদি ইউপিপিএল এনডিএ-তে থাকে, তাহলে বিপিএফ সেই জোটে থাকবে না।
হাগ্রামা মহিলারী আরও জানিয়েছেন, এনডিএ-তে যোগদানের জন্য একটি শর্ত দিয়েছেন তিনি—ইউপিপিএলকে বাদ দিতে হবে। শুধুমাত্র সেই শর্ত পূরণ হলেই বিপিএফ এনডিএ-র অংশ হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এই অবস্থায় বিটিসি-র রাজনৈতিক ভবিষ্যত কোন পথে এগোয়, তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিটিসি একটি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদের অধীনে রয়েছে অসমের চারটি জেলা—কোকরাঝার, চিরাং, বাকসা ও ওদালগুড়ি।