আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে গুরু পূর্ণিমা ও কালিদাস জয়ন্তী উদযাপন

পিএনসি, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১০ জুলাই : বৃহস্পতিবার আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে গুরু পূর্ণিমা ও কালিদাস জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হল। সংস্কৃত বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানটি স্বপ্না দেবী স্মৃতি ভবনে অনুষ্ঠিত  হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অশোক কুমার সেন, সুখস্বপ্নান্যাসের প্রতিষ্ঠাপক তথা কাছাড় কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড.সুখময় ভট্টাচার্য, রবীন্দ্রনাথ টেগোর স্কুল অফ ইন্ডিয়ান ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ এর অধ্যক্ষ অজিত কুমার বৈশ্য, সংস্কৃত বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক তপোময় ভট্টাচার্য্য, সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ শান্তি পোখরেল এবং বিভাগীয় অধ্যাপক ড.গোবিন্দ শর্মা। এছাড়াও অন্যান্য বিভাগ থেকে অধ্যাপক অধ্যাপিকাগণ উপস্থিত হয়েছিলেন।

আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত অন্যান্য কলেজ থেকেও অধ্যাপক অধ্যাপিকাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে অধ্যাপিকা স্বপ্না দেবীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে মাল্য অর্পণ করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করেন গুরুচরণ কলেজের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক কেশব লুইটেল। বিভাগীয় ছাত্রছাত্রীরা অতিথিদের চন্দন তিলক ও উত্তরীয় প্রদানের মাধ্যমে বরণ করে নেন।

গুরুপূর্ণিমার এই পুণ্য তিথিতে সংস্কৃত বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত অতিথিদের মাল্যদান, উপহার প্রদান এবং পাদবন্দনার মধ্য দিয়ে গুরুপূজন করে। গুরুপূর্ণিমার মহত্ব এবং মানবজীবনে গুরুর ভূমিকা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় গবেষিকা সুপ্রিয়া চৌবে।

অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য কথন করেন সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ শান্তি পোখরেল। ড.সুখময় ভট্টাচার্য গুরু পূর্ণিমার পবিত্রতা, সেই সঙ্গে বেদ, বেদাঙ্গ পড়ার উপযোগিতা ও উচ্চারণের ওপরে বক্তব্য রাখেন। শিলচর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক নৃত্যেন্দু বিকাশ দাস সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর সংকাধ্যক্ষ অজিত কুমার বৈশ্য স্ববক্তব্য উপস্থাপন করেন। শিলচর গুরুকুলের অধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী সংস্কৃতে নৈতিকতা এবং প্রাচীন গুরুকুল গুলির মহত্ব বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড.গোবিন্দ শর্মা কবিকুলগুরু কালিদাসের জীবনবৃত্তান্ত, তাঁর লিখনশৈলী, অভিনব সৃষ্টি , উপমা প্রয়োগ ইত্যাদি প্রসঙ্গে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। আষাঢ় মাসের শুক্ল প্রতিপদা তিথিতে কালিদাস জয়ন্তী পালিত হয়ে থাকে। গুরুচরণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক কেশব লুইটেল মেঘদূতের শ্লোকোচ্চারণ করেন। প্রাক্তন ছাত্রগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক তপোময় ভট্টাচার্য সংস্কৃত ভাষা ও তার উপযোগিতা, কালিদাসের সৃষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য দেন। এরপর সংস্কৃত বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, যারা আসাম টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের বিভাগীয় পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অশোক কুমার সেন কালিদাসের সৃষ্টি ও শকুন্তলার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। বিভাগীয় অধ্যাপক ড.গোবিন্দ শর্মা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। শান্তিমন্ত্র পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

Author

Spread the News