প্যাডলার তৈরিতে সফল শিলচরের গ্রুমিং টেবিল টেনিস কোচিং সেন্টার
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২১ সেপ্টেম্বর : প্যাডলার তৈরিতে সফলতা অর্জন করল শিলচরের গ্রুমিং টেবিল টেনিস কোচিং সেন্টার। ৬ খুঁদে প্যাডলার দিয়ে শুরু হয়েছিল গ্রুমিং টেবিল টেনিস কোচিং সেন্টার। ২০২২ সালের ১ এপ্রিল। আজ এর পরিসর যেমনটা বৃদ্ধি পেয়েছে, বেড়েছে এর গৌরবও। প্রথম ছ’য়ের পাঁচ প্যাডলার রাজ্য ও জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়। এরমধ্যে দুবার জাতীয় শিরোপা দখল করেছে এই কোচিং সেন্টারের ছাত্রী দিবিজা পাল। রবিবার গৌরবগাথা খেলোয়াড় ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে সেন্টারের সফলতা ব্যক্ত করলেন প্রতিষ্ঠানের কোচ পার্থ প্রতিম দেব। কোচ পার্থবাবু বলেন, ছয় প্যাডলার দিয়ে গ্রুমিং সেন্টার শুরু হলে এখন ৩৬ জনে পৌঁছেছে।
শিলচর সিভিল হাসপাতালের বিপরীতে থাকা এই সেন্টার অতি স্বল্প পরিসর দিয়ে শুরু হলে এখন অত্যাধুনিক যেকোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সমকক্ষ তারা। সিন্থেটিক ফ্লোর, উন্নত মানের টেনিস টেবিল রয়েছে তাদের। ডিএসএ বা অন্যকোন সম প্রতিষ্ঠানের আওতায়ভুক্ত নয় তাদের প্রতিষ্ঠান। টিটি প্রশিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের একান্ত সহায়তায় এবং টেনিসের স্বার্থে নিজের চিন্তাভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সেন্টারটি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন পার্থবাবু। কোচিং সহায়তায় সহযোগী হিসেবে রাজীব দেব নামের এক সিনিয়র খেলোয়াড় এখন সেন্টারে কাজ করছেন। আরও দুজন সহযোগী প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগীতার ক্ষেত্রে উধারবন্দ টেবিল টেনিস ক্লাবের কাছ থেকে অনেক সাপোর্ট পেয়ে থাকেন।সেন্টারে বৃহস্পতিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ও বিকাল প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সকাল দিকে পুরনোরা প্রশিক্ষণ নেন এবং বিকেলে নবাগতদের টেনিস তালিম দেয়া হয়। পার্থবাবু বলেন, উধারবন্দ টিটি ক্লাবে আগে প্রশিক্ষণ দিতেন কিন্তু সেখানকার অভিভাবকরা একটা সীমায় এসে আর বিশেষ উৎসাহ দেখান না। এই অবস্থায় শিলচরে এধরনের একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে আগ্রহী হন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সূচনায় অনূর্ধ্ব ১১ বালিকা সিঙ্গেল বিভাগে ধনাক্সি সাহা অসমে অষ্টম রেঙ্কিং পজিশন এবং অনূর্ধ্ব ১৩ বয়সের বালক বিভাগে রাজ্য রেঙ্কিং পজিশন সপ্তম স্থান লাভ করে। এর পরের বছর দিবিজা পাল অনূর্ধ্ব ১১ বালিকা বিভাগে রাজ্য রেঙ্কিং পজিশন ২ এবং যশরাজ পাল অনূর্ধ্ব ১৩ বালক ক্যাটাগরিতে নবম স্থান দখল করে। চলতি বছরে অনূর্ধ্ব ১১ বালক বিভাগে রাজ্যে সেরা পজিশন দখল করে বিপ্রজিত পাল এবং একই ক্যাটাগরির বালিকা বিভাগে দিবিজা পাল। তাছাড়া অনূর্ধ্ব ১৭ জুনিয়র বালক বিভাগে সপ্তদশ স্থান দখল করে যশরাজ। এই সফল গাঁথা এখানেই শেষ নয়, মরশুমের শুরুতেই দ্বিতীয় জাতীয় খেতাব দখল করেন দিবিজা।ফলস্বরূপ রাজ্য ছেড়ে দিবিজা এখন জাতীয় শীর্ষ রেঙ্কিং প্যাডলার।