বেপরোয়াভাবে বাড়ছে গো-মাতার পাচার, মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুকে স্মারকপত্র  সনাতনী সমাজের

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি। 
বরাক তরঙ্গ, ৫ জুন : ঈদ-উল আযহা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব অসমের বিভিন্ন প্রান্তে এক অজানা শঙ্কা গ্রাস করছে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের মনে। উৎসবের আবহে যখন দেশে সম্প্রীতির বার্তা ছড়ানোর কথা, তখনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গো-মাতাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা ও অবৈধ পাচারের মতো জঘন্য অপরাধ।গ্রামগঞ্জ থেকে রাতের আঁধারে গোমাতাদের চুরি করে নিয়ে যাওয়া, অতঃপর তাদের ঠাসাঠাসি করে মোটরগাড়ির খাঁচায় বন্দি করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাচার এক বিভীষিকাময় দৃশ্য হয়ে উঠেছে অনেক সনাতনী পরিবারের কাছে। গো-মাতা, যাঁরা হিন্দু ধর্মে পূজনীয়, তাঁদের এহেন অবমাননা শুধু বিশ্বাসে আঘাতই নয়, দেশের আইন ও ন্যায়ের পরিপন্থী এক নিষ্ঠুর প্রহসন।দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোমাতা সংরক্ষণের যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, তা যেন আজ ঠাট্টার বস্তু। জনবহুল হাটবাজারে শাকসবজির মতো গো-মাতাদের প্রকাশ্যে বেচাকেনা, আইন রক্ষাকারী সংস্থার নীরবতা এবং পাচারকারীদের দাপট  এই চিত্র আজ ভয়ানকভাবে সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।সনাতনী সমাজের আবেগ, বিশ্বাস এবং আত্মিক সংস্কার আজ বারবার অপমানিত হচ্ছে।

একদিকে ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত, অন্যদিকে আইনের চোখে ধূলি দেওয়া  এই দ্বিমুখী বিপর্যয়ে চুপ করে থাকতে পারছে না সচেতন মহল। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন — এ কোন গণতন্ত্র, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাবাবেগের মর্যাদা রক্ষায় প্রশাসনের নীরবতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে? গো-সুরক্ষাকে কেন্দ্র করে আইন কার্যকর করা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। নয়তো, ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং সাংবিধানিক ন্যায়ের ভারসাম্য ক্রমেই চূড়ান্তভাবে ভেঙে পড়বে।

বেপরোয়াভাবে বাড়ছে গো-মাতার পাচার, মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুকে স্মারকপত্র  সনাতনী সমাজের

Author

Spread the News