ভাবীকালের নাট্য কর্মশালায় ব্যাপক সাড়া
বরাক তরঙ্গ, ১৬ জুলাই : ভাবীকালের নাট্য কর্মশালায় সব সময়েই ব্যাপক সাড়া মেলে, এ বারও এর ব্যতিক্রম নয়। গত ১২ জুলাই শিলচরের গুরুচরণ কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হয় এ বারের যুব নাট্য কর্মশালার। দু’দিনেই প্রশিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তৃতীয়দিনে স্থানবদলে বাধ্য হন আয়োজকরা। গুরুচরণ কলেজের দুই নম্বর হলে সূচনা হলেও এখন লিংক রোডে চলছে ওই প্রশিক্ষণ শিবির।
ক্যাম্প ডিরেক্টর তথা ভাবীকালের নির্দেশেক শান্তনু পাল, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্য, মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিয়েটারে স্নাতকোত্তর সায়ন্তনী পাল ও জিসি কলেজের গণজ্ঞাপন বিভাগের শিক্ষিকা সন্দীপা দাসের সঙ্গে তৃতীয় দিনে কলকাতা থেকে এসে প্রশিক্ষণে যোগ দেন এনএসডিয়ান অদ্রিজা দাশগুপ্ত।
যত দিন যাচ্ছে, ততই প্রশিক্ষার্থীদের বিস্ময় বাড়ছে, এতসব বিষয় রয়েছে থিয়েটারে! উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই অবশ্য ভাবীকালের সভাপতি রঞ্জন দাস জানিয়েছিলেন, মঞ্চে উঠে পড়া আর প্রশিক্ষণ নিয়ে নাটক করার মধ্যে বিরাট ফারাক। একই কথা শুনিয়েছিলেন ড. দেবাশিস ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে শুধু ভালো নাটক করার দিকে এগিয়ে যাওয়াই নয়, ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘটে।
১২ জুলাই উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক পল্লব ভট্টাচার্য। তিনি খোলামেলা বলেন, “আমি যে দাঁড়িয়ে দু-চার কথা বলছি, সেটা সম্ভব হয়েছে একসময় ভাবীকালের শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম বলেই।” সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তমকুমার সাহা, সুব্রত রায়, শিবম দাসও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ জুলাই শেষ হবে দশদিনের এই প্রশিক্ষণ শিবির। সেদিনেই আনুষ্ঠানিক ভাবে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে প্রশিক্ষার্থীদের হাতে।
শিবিরের ক্যাম্প ডিরেক্টর তথা ভাবীকালের নির্দেশক শান্তনু পাল জানান, তাঁরা রুটিন প্রশিক্ষণের বাইরে একটি প্রযোজনার জন্যও প্রশিক্ষার্থীদের তৈরি করছেন। পাঁচদিনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে তিনি জানান, নাটক প্রশিক্ষণে প্রকৃত আগ্রহীরাই যুব কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। তাই তাদের নিয়ে কাজ করতে আনন্দই পাচ্ছেন শান্তনু। বেশ প্রতিভাবান কয়েকজন প্রশিক্ষার্থীকে পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি।