বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের রংপুর-শিমুলতলা আঞ্চলিক কমিটি গঠন
বরাক তরঙ্গ, ২১ জুলাই : বরাক ডেমোক্রেটিক যুবফ্রন্ট আহ্বায়ক হারাধন দত্তের আহ্বানে আয়োজিত এক স্থানীয় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গঠিত হল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের রংপুর, শিমুলতলা আঞ্চলিক কমিটি। রবিবার স্থানীয় সমাজসেবী ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব অষ্টলাল দাসের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় জনগণের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
বিডিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে এদিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রয়োজনীয়তা উপস্থিত নাগরিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বরাকের রাজনৈতিক নেতৃত্বের অক্ষমতাই এই উপত্যকার বঞ্চনা, বৈষম্যের একমাত্র কারণ। তিনি বলেন, কোন জাতীয় দল ও দিশপুরের বরাক বিরোধী লবির অধীনে থাকলে নেতৃত্বের পক্ষে এটা সম্ভবও নয়। অতীতে দল নির্বিশেষে বিভিন্ন সরকারের আমলে তা দেখা গেছে। এখনো একই ব্যাপার চলছে। এবং এজন্যই বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের মতো আঞ্চলিক দল ছাড়া এই সমস্যা কখনোই মিটবে না। বিডিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য এদিন বরাকের ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন যে যদি বরাকের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বরাকের স্বার্থে একজোট হয়ে আওয়াজ তুলতে পারতেন তাহলে এতদিনে এই উপত্যকার অনেক কিছুই বদলে যেত। তিনি বলেন এই উপত্যাকার যে সম্পদ বা সুযোগ রয়েছে তার সঠিক সদব্যাবহার হলে বেকার সমস্যা থেকে শুরু করে বন্যা সমস্যা অব্দি সবকিছুর সমাধান সম্ভব। শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন দরকার।
যুবফ্রন্ট আহ্বায়ক হারাধন দত্ত এদিন বিডিএফ এর অতীত কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি বলেন যে শিমুলতলা অঞ্চলের স্লুইস গেটের সমস্যা সমাধান বা বন্যার্ত গৃহপালিত গরু মোষের জন্য পশুখাদ্য ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে তাঁরা বিডিএফ সদস্যদের অকুন্ঠ সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি বলেন যে এই আঞ্চলিক কমিটির নেতৃত্বে ভবিষ্যতে এলাকার অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী।
সভায় উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্ট নাগরিকরা এদিন স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বরাকের তীরে ভাঙনের ফলে স্থানীয় প্রায় পঞ্চাশটি পরিবারের বসতবাটি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে বলে জানান উপস্থিত মহিলা সদস্যরা। পরে সর্বসম্মতিক্রমে এদিন একুশ সদস্য বিশিষ্ট বিডিএফ এর একটি শিমুলতলা আঞ্চলিক কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শৈলেশ দাস। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য মনোনীত হয়েছেন যথাক্রমে সঞ্জিত দাস, প্রসেনজিৎ দাস ও পিকলু দাস। এছাড়াও কার্যনির্বাহী কমিটিতে মনোনীত হয়েছেন মনোহর দাস, মহেন্দ্র দাস, সুরেশ দাস, মণি পাল, রুবি দাস, সুমিত্রা দাস, সন্ধ্যা দাস, মানস রায়, অর্চনা রায়, বিলাশি দাস, মিঠন দাস প্রমুখ। সাধারণ সদস্যের একটি তালিকাও এই সভায় গৃহীত হয়েছে।
নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়ে অনতিবিলম্বে জোরদার আন্দোলন কর্মসূচি গড়ে তোলার ব্যাপারে এদিনের সভায় বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। বিডিএফ এর পক্ষ থেকে দেবায়ন দেব এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।