মহালছড়া ও চৌরঙ্গী থেকে পাঁচজন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি আটক

অনিতা পাল, কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ৩০ জুন : দেশে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করা বিদেশি নাগরিকদের ধরপাকড় শুরু হতেই দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নিজ দেশে ফেরার পথে ধরা পড়ছেন নাগরিকরা। বিশেষ করে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করা বাংলাদেশি পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম সীমান্তে আটকা পড়ছেন। অনুরূপ ভাবে অসমের কাছাড়ের সীমান্তে বেশ কয়েকবার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি জনতার হাতে ধরা পড়েন। একই ভাবে কাছাড় জেলার পশ্চিম কাটিগড়ার মহালছড়া সীমান্ত এলাকায় রবিবার বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বাগেরহাটেরই সাইদুল ইসলাম এবং মহম্মদ দুলাল। স্থানীয় জনতা তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করে পাকড়াও করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে গুমড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরবর্তীতে তাদের শিলচর পুলিশ প্রশাসনের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

মহালছড়া ও চৌরঙ্গী থেকে পাঁচজন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি আটক

অপর একটি ঘটনা ঘটে রবিবার সকালে কাটিগড়ার চৌরঙ্গী সুমো স্ট্যান্ডে। স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে তিনজন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাটিগড়া থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এক বাংলাদেশি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাকি একজন পুরুষ ও একজন মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উভয়কে শিলচরে নিয়ে গেছে পুলিশ।

তবে চৌরঙ্গীর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা থানা ক্যাম্পাসে পৌঁছে ভিডিও ধারণের চেষ্টা করলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী তাদের বাধা দেন। উভয়ের নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করার সুযোগও দেওয়া হয়নি। কেন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের পুলিশ সহযোগিতা করেনি, কেনই বা ভিডিও ধারণে বাধা দেওয়া হল, সেই বিষয়ে কাটিগড়া থানার পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মহালছড়া ও চৌরঙ্গী থেকে পাঁচজন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি আটক

এদিন মহালছড়া ও চৌরঙ্গী— দুটি পৃথক স্থান থেকে মোট পাঁচজন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে শিলচরে পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অবৈধ যাতায়াতের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা, নজরদারি ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। এই ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নিরবচ্ছিন্ন নজরদারির দাবি উঠছে এলাকাবাসীর মধ্যে থেকে।

এ দিন সকালে অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের সময় ধরা পড়েন বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাগেরহাট এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ সালেক।

Author

Spread the News