বুধবার লক্ষ্মী পূজা, বাজারে আগুন

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৫ অক্টোবর : আগামীকাল, বুধবার লক্ষ্মী পূজা। পূজার আয়োজনে বাজারে কেনাকাটায় ব্যস্ত সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা। শহরের বিভিন্ন বাজার গুলোতে লক্ষ্মী প্রতিমার পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার শিলচরের বিভিন্ন বাজারে ফলমূল, ধান ও পুজোর অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করতে মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে। এতে গুণতে হচ্ছে কড়ি কড়ি টাকা। ফলমুল থেকে শুরু করে প্রতিটি সামগ্রীর অগ্নিমূল্য। তারপরও বাধ্য় হয়ে কিনতে হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বুধবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মী পাঁচালী সহ বৈদিক মন্ত্রচ্চারনের মাধ্যমে শ্রদ্ধালুরা দেবী আরাধনায় বিলীন হবেন। আলপনার মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা হবে প্রত্যেকের ঘর। গৃহিণীরা লক্ষ্মী আরাধনার মাধ্যমে পরিবারের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় সমবেতভাবে পুজোয় সামিল হবেন।
যে রাতে লক্ষ্মীর পূজা হয়, সেটি হলো কোজাগরী পূর্ণিমা। কো জাগরী–অর্থাৎ কে জেগে আছ–কথাটি থেকে কোজাগরী। কোজাগর মানে, ‘কে জাগে?’ যার নেই সে পাওয়ার আশায় জাগে। যার প্রচুর আছে সে হারানোর ভয়ে জাগে! ভক্তদের বিশ্বাস, পূজার পর ওই রাতেই নাকি মা ঘরে ঘরে উঁকি দিয়ে দেখেন কে জেগে আছে। আর যে জেগে থাকে, তার হাতেই ধরিয়ে দেন ধন সম্পদে পরিপূর্ণ ঝাঁপিখানি। লক্ষ্মীপুজোয় যে আল্পনা দেওয়া হয়, তাতে মায়ের পায়ের ছাপও আঁকা হয়। বিশ্বাস ওই পথেই মা ঢুকবেন গৃহস্থের ঘরে। কথিত আছে, কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে দেবী লক্ষ্মী মর্ত্যে আসেন তাঁর ভক্তদের আশীর্বাদ করতে। দেবী লক্ষ্মী পার্থিব এবং অপার্থিব সম্পদ, সৌভাগ্য এবং সৌন্দর্যের দেবী। এই তিথিতে যাঁরা রাত জেগে দেবীর আরাধনা করেন এবং দেবীর আগমনের অপেক্ষায় থাকেন, তাঁরা দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পান।
‘লক্ষ্মী’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ লক্ষ্য থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘লক্ষ্য’ বা ‘লক্ষ্য’ এবং তিনি বস্তুগত এবং আধ্যাত্মিক উভয়ই সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী। পঞ্জিকা মতে, বুধবার সন্ধে ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড গতে পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড গতে পূর্ণিমা তিথি শেষ। যাঁরা গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করবেন, তাঁরা এই সময়েই পুজো করতে পারবেন। আবার বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, বুধবার রাত ৮টা ৪১ মিনিট গতে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি শুরু। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা ৫৬ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শেষ। তাই এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করতে পারেন।