মেদল-শরীফনগর জিপিতে বিজয়ের উৎসব, ফেরদৌসী বেগমসহ জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে উল্লাসের জোয়ার
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১২ মে : সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মেদল-শরীফনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকায় বইতে শুরু করে বিজয়ের আনন্দধারা।প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন জিপি সভাপতি হোসেন আহমেদ চৌধুরীর স্ত্রী, কংগ্রেস প্রার্থী ফেরদৌসী বেগম চৌধুরী বিপুল ভোটের ব্যবধানে এপি সদস্যা পদে জয়লাভ করেছেন। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুকসানা বেগমকে প্রায় ৩৩০০ ভোটে পরাজিত করেন। ফেরদৌসী বেগম প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৪২০০-এর বেশি, যেখানে রুকসানা বেগমের ভোট ৮০০-এর কিছু বেশি।
জানা গেছে, মোট প্রায় ৬০০ ভোট বাতিল হয়েছে। এদিন মেদল-শরীফনগর জিপির বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকেও জয়ী সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী আব্দুল আহাদ, ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিশিষ্ট সমাজসেবী ও কংগ্রেস কর্মী মইনুল হকের স্ত্রী ফাতেহা সুবাহানি লস্কর, ৩ নম্বরে আব্দুল হামিদ, ৪ নম্বরে সমাজসেবী আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী হেনা বেগম বিজয়ী হন। মেদল এলাকায় মেম্বার হিসেবে জয়লাভ করেন কমরুল হক, সমসুল হক এবং আব্দুল বাসিতের স্ত্রী। ফলাফল ঘোষণার পর শরীফনগরে বিজয়ী প্রার্থীদের সমর্থকেরা মিষ্টিমুখ, আলিঙ্গন, আতশবাজি, নাচ-গান এবং মিছিলের মাধ্যমে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে পড়ে। চারপাশে যেন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।
জয়ী এপি সদস্যা ফেরদৌসী বেগম চৌধুরীর স্বামী ও প্রতিনিধি হোসেন আহমেদ চৌধুরী বলেন, এই জয় গোটা জিপির জনগণের। সকল সম্প্রদায়ের আশীর্বাদ ও সহানুভূতিতে আমরা একতরফা জয় পেয়েছি।তিনি আরও জানান, জিপির উন্নয়নে যে কোনো সরকারি অনুদান গোপন না রেখে সবার সামনে স্বচ্ছভাবে বন্টন করা হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জিপির সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
অন্যদিকে, প্রতিটি ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য ও তাঁদের প্রতিনিধিরা জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, এ বিজয় জনগণের। আমরা কারো ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়, সমষ্টিগত কল্যাণে কাজ করে যাব। পুরো মেদল-শরীফনগর এলাকায় আজ সত্যিকার অর্থেই ছিল গণতন্ত্রের উৎসব, ছিল জনগণের বিজয়।