দুই সিনিয়র প্রকৌশলীর অবিরাম চাপে চরম পন্থা মহিলা জেই-র
বরাক তরঙ্গ, ২২ জুলাই : বঙাইগাঁওয়ে একটি মর্মান্তিক ঘটনা। বঙাইগাঁওয়ে, লোক নির্মাণ (পূর্ত) বিভাগের একজন সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করা এক তরুণী তার ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। চরমপন্থা নেওয়া সহকারী প্রকৌশলী হলেন যোশিকা দাস। যোশিকা দাস প্রায় এক বছর আগে লোক নির্মাণ বিভাগের (ভবন) সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি একটি নোট রেখে গেছেন।
নোটে প্রকাশ পেয়েছে যে তিনি দুই সিনিয়র প্রকৌশলীর অবিরাম চাপের কারণে এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী দিনেশ শর্মা মেধি এবং এসডিও আমিনুল ইসলাম মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগ করেন। সহকারী প্রকৌশলী যোশিকা দাসের শেষ নোটে এটি উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তাঁর নোটে লিখেছেন যে তাঁকে বর্ষণগাঁও স্টেডিয়ামের চলমান নির্মাণের জন্য ভুল হিসেব অনুযায়ী কাজ করতে চাপ দেওয়া হয়েছিল। বরপাড়ায় যোশিকা দাস তাঁর ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে ফাঁসি লেগে আত্মহত্যা করেন। জানা গেছে যে মৃত যোশিকা দাস গুয়াহাটির বাসিন্দা।
তরুণী লিখে যান, “যদি একটি সমস্যা স্যারের সামনে উপস্থাপন করা হয়, তিনি বলেন এটি কিছুই হবে না, শুধু এগিয়ে যাও এবং এটি করো। প্রকল্পের বিলের ক্ষেত্রে, সর্বদা অগ্রাধিকার দেওয়া হত। যা কিছু ঘটে, হতে দাও।” (যুৱতীগৰাকীয়ে লিখিছে যে ‘‘কিবা এটা প্ৰ’বলেম ছাৰসকলৰ আগত আনিলে, কয় যে হ’ব একো নাই, কৰি দিয়া। প্ৰজেক্টৰ বিল দিয়াৰ ক্ষেত্ৰত প্ৰায়’ৰিটী আছিল সদায়। বাকী যি হয় হৈ থাকক।’’)