হাউলিতে ১৩ রোহিঙ্গা আটক, মিলল বিস্ফোরক তথ্য

বরাক তরঙ্গ, ১ সেপ্টেম্বর : বরপেটা রেলস্টেশনে রেল থামতেই নামল ১৩ জনের একটি দল। তিনজন পুরুষ, তিনজন মহিলা এবং সঙ্গে রয়েছে সাতটি শিশু। কোথায় যাবে? কিভাবে যাবে? যদি কারও সন্দেহ হয়? পুরো দলটি রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশকারী। তারা বাংলাদেশ যেতে চায়। জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রথমে দিল্লি, তারপর ওই রোহিঙ্গা দল এসে উপস্থিত হয়েছে অসমের বরপেটায়। তারা যখন প্রথমবার ভারতে প্রবেশ করেছিল, তখনও এই পথেই এসেছিল। তবে সেবার দালালের সহায়তায় প্রবেশ করানো হয়েছিল। কিন্তু এইবার—

হঠাৎ এক রোহিঙ্গা কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে একটি অটোরিকশায় বসে থাকা একজনকে জিজ্ঞাসা করল—“হাউলিতে যাবেন?”

রেলস্টেশনের কাছেই দাঁড়ানো সেই অটোতে উঠে বসল অনুপ্রবেশকারীদের দলটি। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরেই অটোচালকের সন্দেহ হল। আইনগত জটিলতায় পড়ার ভয়ে চালক দলটিকে হাউলি হাসপাতালের কাছে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে নামিয়ে রেখে সরে পড়ে।

অটোচালক ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন অচেনা মানুষগুলোকে দেখে পুলিশে খবর দেয় এবং হাউলি থানার পুলিশ এসে রোহিঙ্গা দলটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

থানায় আনার পর প্রকাশ পায় বিস্ফোরক তথ্য। আটক রোহিঙ্গারা স্বীকার করেছে যে তারা ১২ বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে ছিল। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তাদের শরণার্থী কার্ডও। কিন্তু যাদের ২০১২ সালে ভারতে প্রবেশ, তাদের হাতে ২০২৪ সালের শরণার্থী কার্ড পাওয়া যাওয়ায় গোটা ঘটনাই রহস্যজনক হয়ে উঠেছে।

পুলিশ যে রোহিঙ্গাদের আটক করেছে তারা হল—মোহাম্মদ রফিক, নুর আলি, মোহাম্মদ আলম, আসিয়া খাতুন, সকুতারা বেগম ও সায়েদা খাতুন। অন্যদিকে, শিশুদের মধ্যে রয়েছে—কিসমৎআরা বেগম, মিনারা বেগম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, হামিদ রেহমান, মোহাম্মদ ওসমান, মোহাম্মদ ইসমাইল ও আসমা তারা।

রোহিঙ্গা দলের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করল যে দেশের নানা প্রান্তে আত্মগোপন করে রয়েছে বহু রোহিঙ্গা শরণার্থী।

Spread the News
error: Content is protected !!