বিশেষজ্ঞরা উপসর্গ মৃদু বললেও বাড়ছে করোনা
৩ জুন : সুস্থ হচ্ছেন মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন উপসর্গ মৃদু। এই ঢেউ নিয়ে এখনও চিন্তার তেমন কিছু নেই। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণের হার। গত কয়েকদিনে দ্রুত গতিতে বেড়েছে দেশের সংক্রমণ।
২৬ মে যেখানে সংখ্যা ছিল ১০১০, সেখানে ৩০ মে সংখ্যা পৌঁছয় ২৭১০-এ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৩৯৫। একদিনেই নতুন করে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬৮৫জন। জুনের প্রথম দিনের আক্রান্ত প্রায় চার হাজার। ২ জুনের কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৬১। ৩ জুন কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে মোট করোনা আক্রান্ত চার হাজার পার, সংখ্যা ৪০২৬।
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যানও। কেন্দ্রের তথ্য, কেরলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪১৬।সোমবার সে রাজ্যে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি। মহারাষ্ট্রে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৯৪। সোমবার সেই রাজ্যেও নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হননি বলেই তথ্য। দিল্লিতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৯৩। গুজরাটে ১ জুনের পর নতুন করে ৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৯৭। কর্ণাটকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১১, তামিলনাডুতে ২১৫, উত্তরপ্রদেশে ১৩৮। বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭২। ১ জুনের পর বাংলায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তেমনটাই। কেন্দ্রের তথ্য, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। দেশে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

করোনার নতুন ঢেউয়ের মাঝেই, ভারতে খোঁজ মিলেছে এই সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্টের। শনিবার এনবি.১.৮.১ এবং এলএফ.৭-এর চার ধরনের ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে ।
২০২৫ সালের মে পর্যন্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এলএফ.৭ এবং এনবি.১.৮.১ সাবভেরিয়েন্টগুলিকে ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিংহিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে, ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বা ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট হিসাবে নয়। কিন্তু চিন এবং এশিয়ার নানা জায়গায় এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে ইতিমধ্যে।
খবর : আজকাল ডট ইন।