ট্রাম্পের নৈশভোজে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্তারা, গেলেন না ইলন মাস্ক
৬ সেপ্টেম্বর : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আয়োজিত এক বিশেষ নৈশভোজে এক ছাতার তলায় মিলিত হলেন বিশ্বের প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির প্রধানেরা। বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় আয়োজিত এই রুদ্ধদ্বার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ, অ্যাপলের টিম কুক, মাইক্রোসফ্টের সত্য নাদেলা, সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেট্স এবং ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান-সহ আরও অনেকে। তবে উপস্থিত ছিলেন না এক সময় ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত টেসলা ও এক্স-এর কর্ণধার ইলন মাস্ক। এই অনুপস্থিতি ঘিরেই জল্পনার সূত্রপাত। ট্রাম্পের আমন্ত্রণ পাননি মাস্ক? প্রশ্ন ঘুরছে রাজনৈতিক মহল থেকে তথ্যপ্রযুক্তি মহলে।
এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন মাস্ক নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি আমন্ত্রিত ছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে উপস্থিত থাকতে পারিনি। আমার এক প্রতিনিধি সেখানে গিয়েছেন।’ যদিও হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিকের বক্তব্য, আমন্ত্রিতদের তালিকায় মাস্কের নাম ছিল না। ফলে সত্যতা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই নৈশভোজে মার্কিন মুলুকে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে সংস্থাগুলির প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কে কত পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবেন, তা শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। রসিকতা করে বলেন, ‘আমি বিশ্বের সেরা মেধাবীদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে রয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইলন মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের একজন ঘনিষ্ঠ সমর্থক। ক্ষমতায় আসার পর মাস্ককে হোয়াইট হাউসের সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দপ্তরে প্রধান করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে কার্যকর সাশ্রয়। তবে সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক রূপ নেয় বিরোধে। একটি বিতর্কিত বিলকে ঘিরে শুরু হয় মনোমালিন্য। ট্রাম্প যেখানে বিলটিকে ‘বড় ও সুন্দর’ বলে আখ্যা দেন, সেখানে মাস্ক প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দু’পক্ষের সম্পর্কে ফাটল ধরে। পরে প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন মাস্ক। পরবর্তীতে মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হয়ে আইনেও পরিণত হয় ওই বিল।
খবর : দৈনিক স্টেটসম্যান বাংলা।