ভূমিকম্প : দেড় শতাধিক মৃত্যু মায়ানমারে
২৮ মার্চ : ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণনত হল মায়ানমার। শুক্রবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মায়ানমারে ১৬৭ জনেরম মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম অন্তত ৩৭০ জন। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। তাদের মধ্যেও অনেকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশে থাইল্যান্ডেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পের কারণে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে মায়ানমারের জুন্টা সরকার। ভূমিকম্পের পর দেশের ৬ টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।
এদিন পরপর তিনবার জোরালো ভূমিকম্প হয় (Earthquake) মায়ানমারে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২, ৭ এবং ৫।
ন্যশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। প্রথমটির উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের বার্মার ১২ কিলোমিটার উত্তরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এরপর দ্বিতীয় ভূমিকম্প অনুভূত হয়, ১২টা ২ মিনিট নাগাদ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭। দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের লকসকের ১৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে। এরপর তৃতীয় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ১২টা ৫৭ মিনিট নাগাদ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫। কম্পন এতটাই তীব্র ছিল যে, ৯০০ কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককেও হোটেল, শপিং মল কাঁপতে শুরু করে। আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা। সেখানে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি। জানা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারের একাধিক ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক বহুতল। ইন্ডিয়ান প্লেট, বার্মা মাইক্রোপ্লেট এবং শান-থাই ব্লক- এই তিনটি টেকটনিক প্লেট মায়ানমারে রয়েছে। এই কারণে এটি পৃথিবীর ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলির মধ্য অন্যতম।

