ইসলামি জ্ঞানের অভাবে আজ মুসলিম সমাজে ঢুকছে পশ্চিমি সংস্কৃতি : মওলানা ফকরুল
বরাক তরঙ্গ, ১২ জানুয়ারি : ইসলামি শিক্ষার অভাবে আজ মুসলিম সমাজ বিপন্ন। ধর্মীয় সঠিক জ্ঞান না থাকায় মুসলিম সমাজে পশ্চিমি সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে আমদানি হচ্ছে। এ নিয়ে সতর্ক করলেন বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট ইসলামি পন্ডিত মওলানা ফকরুল ইসলাম। শনিবার রাতে সৈদপুর ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) কমিটির আয়োজিত মহফিলে কোরান ও হাদিস নিয়ে আলোচনায় কথাগুলো বলে সতর্ক করলেন তিনি। মওলানা তাঁর আলোচনায় বলেন, কোরান ও হাদিসে যেসব নেই অর্থাৎ মানা রয়েছে আজ সেগুলো সাড়ম্বরে পালন করছে মুসলিম সমাজের অধিকাংশই। প্রসঙ্গক্রমে বলেন, আজ ইসলাম ধর্মের যুবক যুবতীর বিয়ের অনুষ্ঠান পশ্চিমি কায়দায় হচ্ছে। তিনি বলেন, তিন থেকে চার লক্ষ টাকা প্যান্ডেল সাজানোর ক্ষেত্রে খরচ করে যুবক বা তার পরিবার, অথচ ‘ফরজ’ কাজ পড়ে থাকে বাকির খাতায়। মোহর বাকি রেখে কন্যাকে বধূ রূপে বাড়িতে নিয়ে আসে। এছাড়াও তিনি বাস্তব জীবনে ইসলামের নীতি নৈতিকতার বাইরে কাজ যেসব চলছে তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কোরান ও হাদিসের মধ্যে প্রচলিত করতে হবে। অতি প্রাঞ্জল ভাষায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মওলানা ফখরুল ইসলাম। বক্তব্যে তিনি ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের কোথাও উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশের কথা বলতে গিয়ে বলেন, যেসব মওলানা বাংলাদেশে স্থান ছিল না সেদেশের বাইরে ছিলেন আজ ইহুদি ও নাসারার টাকায় তারা দেশে ফিরে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ কে নিয়ে নানা উক্তি করে বক্তব্য রেখে চলেছেন। তিনি তার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানান। সবশেষে তিনি বলেন, সৌদি আরব দলিল নয়, দলিল হচ্ছে কোরান ও হাদিস। সেই মতে সবাইকে চলার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

সৈদপুর চতুর্থ খণ্ডে বেলা দু’টা থেকে শুরু হয় মহফিল। মহফিলের সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করেন মওলানা মাবরুর আহমদ বড়ভূইয়া (বাগাডহরি)। মহফিলে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে ছিলেন রাতাবাড়ির মওলানা নজরুল ইসলাম ও শ্রীভূমির মওলানা এনামুল হক। বিশেষ বক্তা ছিলেন আন-নুর সিনিয়র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মওলানা শরিফ উদ্দিন সাক্কফি, চরকি-শাহ মোকাম মসজিদের ইমাম মওলানা অলিউল্লাহ আইয়ুবি, মওলানা আলতাফ হুসেন, মওলানা আনসার উদ্দিন ও মওলানা আফজল হুসেন। প্রত্যেক বক্তাই সাবলীল ভাষায় কোরান ও হাদিস নিয়ে আলোচনা করেন। মহফিল পরিচালনা করেন সহ-সভাপতি মওলানা ইয়ামিন উদ্দিন।