দঃ সৈদপুরের ভাইরাল ভিডিও : রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বললেন গ্রুপ সদস্যার স্বামী

বরাক তরঙ্গ, ২০ অক্টোবর : সোনাই উন্নয়ন খণ্ডের অধীন দক্ষিণ সৈদপুর জিপির ৮ নম্বর গ্রুপের জিও ট্যাগ করার সময় টাকার নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে মুখ খুললেন গ্রুপ সদস্যার প্রতিনিধি রাকিব আহমদ। সোমবার গ্রুপের দুই শতাধিক পুরুষ ও মহিলাদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাকিব আহমদ বলেন তিনি রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। তাঁকে বদনাম করতে ভোটে পরাজিতরা ভুয়ো ভিডিওটি ভাইরাল করেন। যার কোন সত্যতা নেই। সেটা তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে মনে করেন। এছাড়াও কয়েকটি কুঁড়ে ঘরের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জিও ট্যাগ না করার অভিযোগও খণ্ডন করেন তিনি। রাকিব আহমদ বলেন, যেসব ঘরের ফটো সামাজিক মাধ্যমে জিও ট্যাগ না করার অভিযোগ তোলা হয়েছে সেগুলো কিন্তু ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস পাওয়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৮ সালে সেগুলো নাম অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং ক্রমান্বয়ে তাঁরা সেই আবাস পাবেন।

পরপর তিনবার জয়ী হওয়ায় বিরোধীরা রাজনৈতিক হিংসার দরুন এভাবে ভুয়ো প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলেন। টাকা নেওয়ার ভাইরাল ভিডিও-র বিষয়টি নিয়ে বলেন, ঘটনাটি ১৬ অক্টোবরের রাতের। দু-দিন পরই জিও ট্যাগ ও ই-কেওয়াইসি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাই গ্রুপের প্রকৃত কোন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী আবাস থেকে বঞ্চিত না হন সেজন্য তিনি দিনরাত এসব কাজ চালিয়ে যান। ঐদিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ স্থানীয় ব্যক্তির অনুরোধে তার বাড়িতে গিয়ে এসব কাজ করছিলেন। সে সময় রাত ঘনিয়ে আসার জন্য তিনি পাশের দোকানগুলো থেকে একটি টর্চ লাইট কিনে আনার জন্য টাকা দিয়েছিলেন কিন্তু সেই যুবক টর্চ না পেয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার সময় কে বা কারা লুকিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। তিনি বলেন, এভাবে ভুয়ো প্রচার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে প্রয়াস চালানো হচ্ছে। কিন্তু তারা সফল হবে না গ্রুপের অধিকাংশেরও বেশি লোক তাঁর উপর বিশ্বাস রয়েছে এবং তার পাশে রয়েছেন বলেও জানান।

এ ছাড়াও একদিন বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন গ্রুপ সদস্য লিয়াকত আলি বড়ভূইয়া ও মিনারা বেগম বড়ভূইয়া। এদিন প্রায় ২০০ তাধিক লোকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাগরিক আঙ্গুর হোসেন বড়ভূইয়া, আক্তার হোসেন বড়ভূইয়া, আলা উদ্দিন লস্কর, আইনুল হক বড়ভূইয়া, নঈম উদ্দিন লস্কর, আফতাব উদ্দিন লস্কর প্রমুখ।

