ঈশানদূত ক্লাবের পূজার মণ্ডপ উদ্বোধন দীপায়নের
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৩০ অক্টোবর : প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও থেকে শিলচরের শ্যামানন্দ লেনের ঈশানদূত ক্লাবের পরিচালনায় সর্বজনীন কালীপূজার মণ্ডপ উদ্বোধন করেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। বুধবার সন্ধ্যায় ফিতা কেটে মণ্ডপের উদ্বোধন করেন বিধায়ক। এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তব্যে বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী সুদীর্ঘ ৮ বছর থেকে ঈশানদূত ক্লাবের সদস্যরা যেভাবে কালীপূজা প্রত্যেক বছর বিভিন্ন থিমের মাধ্যমে শহরের দর্শনার্থীদের টেনে আনার যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভূয়াশী প্রশংশা করেন। হিন্দু শাস্ত্রে বলা রয়েছে, তন্ত্র মতে যে সব দেব-দেবীদের পুজো করা হয়, তাঁদের মধ্যে কালী পুজো অন্যতম। বলা হয়, যাঁরা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করতে চান, তাঁরা তন্ত্র-মন্ত্র ক্ষমতায় বিশ্বাসী। মানুষরূপী ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী হতে চাইলে নিষ্ঠা সহকারে কালীপুজো করে থাকেন।
সুধাংশু শেখর ভট্টাচার্য বলেন, যারা আন্তরিকতা এবং গভীর উত্সর্গের সাথে মা কালীর কাছে প্রার্থনা করেন তারা অবশ্যই একটি ইতিবাচক এবং কখনও না বলে মরার মনোভাব নিয়ে আশীর্বাদ পাবেন। তিনি ভয় এবং নেতিবাচকতা দূর করেন, একই সঙ্গে আনন্দ এবং সুখের সূচনা করেন। শিলচর ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মঞ্জুল দেব বলেন, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় পবিত্র ধর্ম হলো সনাতন ধর্ম আর সনাতন ধর্মের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পূজা হলো মা কালীর পূজা। সঞ্জয় রায় বলেন, কালীপূজা মন্দের উপর ভালোর জয় এবং অন্ধকার দূর করতে সাহায্য করে। মানুষের ভেতরের অন্ধকার যেমন রাগ, ক্ষোভ, রাগ এবং অহংকার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। মা কালীর কাছে প্রার্থনা করলে জীবনের সকল সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ক্লাবের পুলক দাস, সভাপতি সঞ্জয় রায়, মহাকাল কাপালিক বাবাজী, সুশীল দাস প্রমুখ।
এদিন সভাটি পরিচালনা করেন সহ-সভাপতি বিজয় রায়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক অপু চন্দ্র দেব, কোষাধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, সহ-সম্পাদক সুদীপ দেবনাথ, রঞ্জিত রায়, বিশাল চক্রবর্তী সহ অন্যান্য সদস্যরা।