সৌদিতে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ উত্তরপ্রদেশের যুবকের বাড়িতে চিঠি

৭ ডিসেম্বর : সৌদি আরবের মৃত্যুদণ্ড,  উত্তরপ্রদেশের মেরঠের মুন্ডালির বাসিন্দা জায়েদের বাড়িতে চিঠি নিয়ে পুলিশ পৌঁছলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কী লেখা ছিল এই চিঠিতে যে পড়লে তার চোখে জল? সৌদি আরবের জেদ্দায় থাকা ছেলেকে নিয়ে প্রতিদিন দুশ্চিন্তায় থাকতেন, কিন্তু বিদেশে থাকা ছেলের উপার্জনেই চলে বাড়ি।

এমন পরিস্থিতিতে ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে স্বস্তি বোধ করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তারা যে খবর পেয়েছে তা হয়তো কেউ কল্পনাও করেনি। আসলে জায়েদের বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়েছে পুলিশ। এই নোটিশে লেখা আছে, সৌদিতে তার ছেলের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, সে তার আবেদন জানাতে চাইলে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আদালতে যোগাযোগ করতে পারে।

এই নোটিশ পড়ে একদিকে পরিবারের সদস্যরা ঘুমাতে পারছেন না, অন্যদিকে ছেলের জীবন নিয়ে চিন্তিত। সৌদি আরবের জেদ্দায় মাদক পাচারের দায়ে মিরাটের জায়েদকে (২৬) মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি ২০২২ সালে মুন্ডালি এলাকার রাচৌটি গ্রাম থেকে গাড়ি চালাতে গিয়েছিলেন। তিনি ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ সাল থেকে সেখানে কারাগারে রয়েছেন। আসলে, জায়েদের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত গুলজার জানিয়েছেন, জায়েদের ছয় ভাই-বোন রয়েছে। জায়েদ দ্বিতীয়। সে বিবাহিত নয়। তিনি একজন চালক। গত বছরের জানুয়ারিতে সেখানে ধরা পড়েন তিনি। সেখানে তার কাছ থেকে মাদক উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল।

২ ডিসেম্বর রাতে মুন্ডালি থানার পুলিশ জায়েদের বাড়িতে এসে নোটিশ দেয়। এই মামলায় স্বপক্ষে আবেদন জানাতে পরিবারকে ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

জায়েদের বাবা জুবায়ের একজন কৃষক এবং তার আরেক ভাই সৌদিতে কাজ করেন। মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি জানার পর থেকে তার পরিবার বেশ বিরক্ত। এ বিষয়ে আমরা কীভাবে ওকালতি করতে পারি তা বিবেচনা করছেন। বিষয়টি বর্তমানে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই বিষয়ে এসএসপি ড. ভিপিন টাডা বলেছেন যে মুন্ডালি থানার পুলিশ জায়েদের বাড়িতে একটি নোটিশ সাঁটা দিয়েছে। বর্তমানে জায়েদের পরিবার ভারত সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। জায়েদের বাবা জুবায়ের জানান, তার অনুরোধে ভারত সরকার সৌদি আরব সরকারের কাছে জায়েদের ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদন পাঠিয়েছে। বর্তমানে অন্য কোন তথ্য নেই। জায়েদের পরিবারের সদস্যরা ডিএমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন, কিন্তু বৈঠক হতে পারেনি। বাবা বলেছেন, ছেলে জেদ্দায় পুলিশের গাড়ি চালাত।

Author

Spread the News