বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি অবলম্বন না করে বাঁধের কাজ : মার্চ ফর সায়েন্স
বরাক তরঙ্গ, ২০ জুন : মার্চ ফর সায়েন্স, শিলচর শাখার পক্ষ থেকে বরাক নদীর জলস্তর পুনরায় বৃদ্ধিতে বেরেঙ্গা এলাকা সংলগ্ন নাথপাড়ার বাঁধের মাটি নিচের দিকে নেমে যাওয়ার ফলে জনমনে যে আতংক দেখা দিয়েছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় যে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি অবলম্বন না করে বাঁধের কাজ করায় আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে বেরেঙ্গা খাস এলাকার স্লুইস গেট, কাড়ারপার, শিববাড়ি রোড এবং এই নাথপাড়ার বাঁধ, জলস্তর বাড়লে কতটুকু নিরাপদ থাকবে তা বলা মুশকিল। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে জলসম্পদ মন্ত্রী বরাকে এসে প্রতিশ্রুতির বন্যায় শিলচরবাসীকে আস্বস্ত করেন। অথচ বছরের যে সময় এসব বাঁধে নির্মাণ কাজ চলে তখন তিনি নীরব ভূমিকা পালন করেন। ফলে বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা খেয়াল খুশি মতো নিম্নমানের কাজ করেন যার ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে ২০২২ এর ভয়াবহ বন্যার পর তোপখানা থেকে সোনাবাড়িঘাট এবং রংপুর এলাকার আঙ্গারজুর, কান্দিগ্ৰাম, মনিপুরীবস্তি ইত্যাদি এলাকার বাঁধ ও স্লুইস গেটের বেহাল দশা পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞান সম্মতভাবে তা সমাধানের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাতে সঠিকভাবে গুরুত্ব দিলে আজ এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না। সংগঠনের সদস্যরা গত দুই বছর থেকে নিয়মিত ভাবে জল সম্পদ বিভাগকে এই সব এলাকার বিপদ সম্বন্ধে চিহ্নিত করা সত্ত্বেও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বরাকের জলস্তর বাড়লে লোক দেখানো তৎপরতা এবং বছরব্যাপী গাফিলতির কারণেই আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে কিছুদিন আগে কাছাড়ের জেলাশাসক সিঙিরখাল, লঙাইখাল এবং রাঙ্গিরখাল কে ৩০ জুনের মধ্যে দখলমুক্ত করার জন্য শিলচরবাসীদের কাছে যে আবেদন জানিয়েছেন, তাকে বাস্তবায়িত করার জন্য শহরবাসী যেন সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও যেন এই নিয়ে একটু তৎপরতা দেখান।
সংগঠনের পক্ষ থেকে শিলচর শহরকে বন্যার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে আসাম সরকারকে শিলচরের খালগুলো কে আদি গভীরতায় খনন করতে, মাস্টার ড্রেনেজ প্রকল্প কে বাস্তবায়িত করতে, বরাক এবং শাখা নদীগুলোকে খনন করতে, বরাকের প্রতিটি বাঁধ এবং স্লুইসগেটগুলোকে স্থায়ী ভাবে মেরামত করতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বর্ষাকাল শেষ হলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।