হাইলাকান্দিতে নভেম্বর থেকে রেশনে ডাল, চিনি, লবন : মন্ত্রী কৌশিক

জনসংযোগ, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৭ আগস্ট : আগামী নভেম্বর মাস থেকে হাইলাকান্দি জেলায়ও রেশন দোকান মারফত রেহাই মূল্যে মসুর ডাল, চিনি এবং লবণ দেওয়া শুরু হবে। প্রতিমাসের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখ অন্ন সেবার দিনগুলিতে বিনামূল্যে চাল বিতরণের সময় রেশন কার্ডধারীদেরকে এই রেহাই মূল্যের সামগ্রীগুলি দেওয়া হবে। রেশন দোকান মারফত এই সামগ্রী গুলি দেওয়া সম্পর্কে সচেতনতা জাগ্রত করতে  বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দিতে আয়োজিত এক সভায় ভাষণ দিয়ে রাজ্যের খাদ্য, সরবরাহ, গণবণ্টন, খনি গ্রাহক পরিক্রমা ও বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায় এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাজ্যের দশটি জেলায় ১৪৩২১টি রেশন দোকান মারফত আগামী অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে রেহাই মূল্যের এই সামগ্রী বন্টন শুরু করা হবে। এরপর নভেম্বরের এক তারিখ থেকে বাকি থাকা ২৫টি জেলার ২০ হাজার রেশন দোকানের মারফত হাইলাকান্দিতেও এই সামগ্রী গুলি বন্টন শুরু হবে। হাইলাকান্দিতে মোট ৭৩৮টি রেশন দোকানের মাধ্যমে এই সামগ্রী বণ্টন চলবে। মন্ত্রী রায় বলেন, দেশের মধ্যে প্রথম সারির পাঁচটি রাজ্যে অসমকে নিয়ে আসতে ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এর অঙ্গ হিসেবে রাজ্য সরকার ৬০ লক্ষ নতুন রেশন কার্ড বণ্টন করেছে। পাশাপাশি রাস্তা, সেতু, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মডেল অঙ্গনওয়াড়ি, ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার ইত্যাদির সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে জনসাধারণকে আর্থিক সহায়তা করে যাচ্ছে। ই-পস মেশিনের মাধ্যমে সামগ্রীগুলি বণ্টন করা হবে।

গনবণ্টন ও গ্রাহক পরিক্রমা মন্ত্রী রায় আরও বলেন, আগের সরকারের আমলে বছরে বারো মাসের রেশন বরাদ্দ করা হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে রেশন দোকানিদের  কাছে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হতেন। এইসব অসুবিধা দূর  করতে আগাম প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করে বর্তমানে এই সামগ্রীগুলো রেশন দোকান মারফত রেহাই মূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরের রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত জেলা রেশন দোকানি এবং সমবায় সমিতিগুলির কর্মকর্তাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব বিশ্বরঞ্জন সামাল রেশন দোকানি  মালিকদের ব্যবসা  উন্নতির জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে বলেন একটি কম্পিউটার সেট এর মাধ্যমে তারা ব্যাংকের এজেন্ট এবং সিএসসির  কাজও করতে পারবেন, যদি  নিজেদের তৎপরতা আরো বাড়াতে পারেন।

অনুষ্ঠানে সরবরাহ বিভাগের ইন্সপেক্টর মৃগাঙ্কশেখর হাজারিকা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে  প্রস্তাবিত গণবন্টন ব্যবস্থার সমগ্র প্রণালী তুলে ধরেন। এতে বলা হয় রেহাই মূল্যে এক কেজি মসুরি ডালের মূল্য ৬৯ টাকা, ১ কেজি চিনির মূল্য ৩৮ টাকা এবং এক কেজি লবণের মূল্য ১০ টাকা।

প্রতিটি সামগ্রী জন্য পৃথকভাবে একবার করে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ই-পস এর মাধ্যমে সামগ্রী গ্রহণ করতে হবে বলে জানানো হয়। শুরুতে সমাবেশে জেলা কমিশনার অভিষেক জৈন স্বাগত ভাষনে জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলাবাসীর সহায়তা কামনা করেন। ভাষণের শুরুতে মন্ত্রী কৌশিক রায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে পুরপতি মানব চক্রবর্তী, বিজেপি জেলা সভাপতি কল্যাণ গোস্বামী বিজেপি নেত্রী মুন স্বর্ণকার অংশ নেন।

Spread the News
error: Content is protected !!