কবিগুরুর চিন্তাধারা ছড়িয়ে দিয়ে প্রয়াস মুখ্যমন্ত্রীর : সুব্রত

কবিগুরুর চিন্তাধারা ছড়িয়ে দিয়ে প্রয়াস মুখ্যমন্ত্রীর : সুব্রত

২০ এপ্রিল রবীন্দ্র সঙ্গীত ও রবীন্দ্র  নৃত্যের জেলা ভিত্তিক বাছাই পর্ব শ্রীভূমিতে_____

মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৩১ মার্চ : অসম সরকারের ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যেগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজ্য ভিত্তিক রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতার ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে শ্রীভূমি জেলায়। আগামী ২০ এপ্রিল রবিবার শ্রীভূমি জেলার প্রতিযোগিতা সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সোমবার শ্রীভূমি রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উৎসব উদযাপন সমিতির উপদেষ্টা সুব্রত চৌধুরীর পৌরহিত্যে অনুষ্টিত সভায় প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ডের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ জন্মজয়ন্তী উদযাপনের শ্রীভূমি জেলা কো-অর্ডিনেটর অরূপ রায়। স্বাগতিক বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী ২০ এপ্রিল সকাল ৮ টা থেকে প্রতিযোগীদের আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। যারা আগে আবেদনপত্র দাখিল করবে তারা আগে ক্রমিং নম্বর অনুযায়ী প্রতিযোগিতায় যোগদানের ছাড়পত্র পাবে। প্রতিযোগিতা তিনটি বিভাগে হবে ‘এ’ গ্রুপের বয়ঃসীমা ৮-১২ বছর। ‘বি’ গ্রুপে ১৩-১৭ বছর এবং ‘সি’ গ্রুপে ১৮-৪০ বছর পর্যন্ত শিল্পীরা সংগীত এবং নৃত্যে অংশ নিতে পারবে।

তবে এক্ষেত্রে একজন প্রতিযোগী সঙ্গীত বা নৃত্যে যে কোন একটিতে অংশ করতে পারবে। প্রতিযোগীদের প্রত্যেককে নির্দিষ্ট আবেদন পত্রের সঙ্গে বয়সের প্রমাণপত্র ও সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিও দাখিল করতে হবে। বিজয়ী প্রতিযোগীর নাম ঘোষণার ক্ষেত্রে বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

সঙ্গীতে তানপুরা/ইলেক্ট্রিক তানপুরা ব্যবহার (ঐচ্ছিক) করা যাবে। এছাড়া অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। তবে হারমোনিয়াম ও তবলা আয়োজক কমিটির ব্যবস্থা করবে। প্রতিযোগীদের বয়সোপযোগী স্বনির্বাচিত রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করতে হবে। হারমোনিয়াম, তবলা ও তানপুরা-শুধু এই তিনটি বাদ্যযন্ত্রই ব্যবহার করা হবে। অন্য কোনো বাদ্যযন্ত্র অনুমোদিত হবে না। রবীন্দ্র নৃত্যে ট্র্যাক ব্যবহার করা যাবে। প্রতিযোগিতায় রাবীন্দ্রিক শৈলীতে রবীন্দ্র নৃত্য পরিবেশন করতে হবে।

রবীন্দ্র উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানের রাজ্যে কমিটির সদস্য ড. দেবতোষ পাল বলেন, প্রতিযোগিতায় কোনো ধরনের প্রবেশ মূল্য লাগবে না। তাছাড়া যারা জেলা পর্যায়ের এডিশনে বিজয়ী হবেন তাদের সকলকে সরকারি খরচে গুয়াহাটিতে রাজ্যে পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় আসা যাওয়া থাকা খাওয়ায় ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে আগামী ১০,১১ ও ১২ মে গুয়াহাটি শঙ্কর দেব কলাক্ষেত্রে রাজ্যে ভিত্তিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি  জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত সকল রবীন্দ্রপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিদের নিকট গোটা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানকে সফল করে তোলার আবেদন জানান। এতে শ্রীভূমি জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা শ্রীভূমি রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উৎসব উদযাপন সমিতির সভাপতি সুব্রত ভট্টচার্য  বলেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শিল্প সংস্কৃতির মাধ্যমে অসমের মানুষের মাধ্যমে ভাতৃত্বের বার্তা দিচ্ছেন। বিগত তিন বছর থেকে বছরের দুবার বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার যে প্রায়াস নিয়েছেন তার বাস্তব রূপ দিতে সকলকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান।

কবিগুরুর চিন্তাধারা ছড়িয়ে দিয়ে প্রয়াস মুখ্যমন্ত্রীর : সুব্রত

অসম সরকারের ভাষিক সংখ্যালঘু বোর্ডের এহন উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি এই অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে আগামী ২০ এপ্রিল জেলার এই মঞ্চ থেকে প্রতিভাবান শিল্পীরা নির্বাচিত হয়ে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে এই জেলার নাম উজ্জ্বল করার অনুরোধ করেন। পাশপাশি তিনি এদিন রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক তথা ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ণ বোর্ডের অধ্যক্ষ শিলাদিত্য দেবের বাঙালিদের নিয়ে সাহসী মনোভাবের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এবং সেই সঙ্গে তিনি অনুষ্ঠানে সবধরণের সহযোগিতার ও আশ্বাস দেন।

সভায় এদিন অন্যান্যদের মধ্যে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন শ্রীভূমি সরস্বতী বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ অঞ্জন গোস্বামী, আয়োজক জেলা সমিতির সহ-সভাপতি সিদ্ধার্থ শেখর পালচৌধুরী, সঙ্গীত গুরু মঞ্জুশ্রী চক্রবর্তী, বিজয় ভূষণ চক্রবর্তী, ড. বাপি মহন্ত, আইনজীবী পিকলু দাস প্রমুখ। সবশেষে সভায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সঙ্গীত ও নৃত্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের হাতে নির্দিষ্ট আবেদনপত্র তুলে দেওয়া হয়।  এই আবেদনপত্র তুলে দেন রবীন্দ্র উৎসবের জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, রনজিৎ দেব, রঞ্জন ভট্টাচার্য, কিশোর দে, ড. অর্পিতা দাস, বর্ণিতা সেন, মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী, পার্থ দাস, শুভঙ্কর মালাকার প্রমুখ।

Author

Spread the News