প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ চ্যাম্পিয়ন টিমের
৪ জুলাই : বার্বাডোজ থেকে দিল্লি, এ বার মুম্বই। আজ দিনভর সেলিব্রেশন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে ১১ বছর পর আইসিসি ট্রফি জয়। সকালেই দিল্লিতে পৌঁছেছে ভারতীয় দল। বৃষ্টি মাথায় সকাল সকালই দিল্লি বিমানবন্দরে রোহিত-বিরাট সহ চ্যাম্পিয়ন টিমকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন হাজারো ক্রিকেটপ্রেমী। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার বিমানযাত্রা। যদিও সমর্থকদের নিরাশ করেননি রোহিতরা। ট্রফি উচিয়ে সেলিব্রেশন করেছেন, হোটেলে ফিরে ঢোলের তালে নাচ, কেক কাটা পর্ব শেষে পূর্বসূচি মতোই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান চ্যাম্পিয়ন টিমের সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন বোর্ড সভাপতি তথা ১৯৮৩ বিশ্বজয়ী দলের অন্যতম নায়ক রজার বিনি ও বোর্ড সচিব জয় শাহ।
কয়েক মাস আগের ঘটনা। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। ওয়ান ডে ফরম্যাটে ২০১১ সালের পর ফের দেশের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিলেন রোহিতরা। যদিও ট্রফির ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। ভেঙে পড়া টিম ইন্ডিয়ার সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের ড্রেসিংরুমে ঢুকে বুকে টেনে নেন মহম্মদ সামিদের। কথা বলেন রোহিত, বিরাটদের মতো সিনিয়র প্লেয়ারদের সঙ্গে। ভেঙে না পড়ার কথা বলেন। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার পরই রোহিত-বিরাট, কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
দিল্লি ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখানে দীর্ঘ সময় কথা হয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নেন প্রধানমন্ত্রী। কোচ রাহুল দ্রাবিড়, বিরাট, রোহিত এবং বিশ্বজয়ী টিমের সঙ্গে একসঙ্গে। আমেদাবাদের হতাশা কাটিয়ে টিমের মতো মোদির মুখেও গর্বের হাসি। দ্রাবিড়, রোহিত, বিরাটদের সঙ্গে কথা বলেন। দেশকে গর্বিত করা বাকি সদস্যদের সঙ্গেও মজা করেন প্রধানমন্ত্রী। বেশ একটা খোলামেলা আলোচনা। ভাইস ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।