এক‌ই দিনে দু’টি ফাইনালে ইটখলা ক্লাব

ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২২ ফেব্রুয়ারি: শিলচরের অন্যতম ক্লাব হচ্ছে ইটখলা ক্লাব। শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থায় রয়েছে তাদের দু’টি ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন। ইটখলা অ্যাথলেটিক ক্লাব এবং ইটখলা স্পোর্টিং ক্লাব। দীর্ঘদিন ধরেই শিলচর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে তারা দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। অন্যদিকে, ইটখলা স্পোর্টিং কিন্তু ক্রিকেটে বি ডিভিশনের দল। তবে তারা উন্নতি করে এখন এ ডিভিশনে খেলছে। শনিবার তারা এ ডিভিশনের ফাইনালে পৌঁছে গেল। আর, এক‌ই দিনে ক্লাবের মূল দল অর্থাৎ ইটখলা এসি ডিফুতে আসাম প্রিমিয়ার ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের (এপিসিসি) জোনাল ম্যাচে বাজিমাত করে পৌঁছে গেল জোন ফাইনালে। এক‌ইসঙ্গে তারা এপিসিসি-র মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করে নিল। এক‌ই দিনে দুটি ফাইনালে পৌঁছনো ইটখলা ক্লাবের ইতিহাসে অনেক গৌরবের।

শিলচরের সতীন্দ্রমোহন দেব মেমোরিয়াল স্টেডিয়ামে সুশীল চৌধুরী ও মীরা চৌধুরী স্মৃতি এ ডিভিশন ক্রিকেট সেমিফাইনালে যোগাযোগ সংঘকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ইটখলা স্পোর্টিং। তারা ২০.৪ ওভারে ৭৬ রানে অলআউট করে ফেলে যোগাযোগকে। তুষার নাথ তিনটি, অভিষেক দেব এবং অধিনায়ক রাহুল সিং দুটি করে উইকেট নেন। যোগাযোগের সেরা স্কোর শান্তনু দাসের ২৩। জবাবে ১২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান করে ফেলে স্পোর্টিং। কৃষ্ণ সিং ২৯ এবং পার্থ দেবনাথ ২৬ রান করেন।

এক‌ই দিনে দু'টি ফাইনালে ইটখলা ক্লাব

এদিকে, ডিফুর পাঁচ মাইল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হাইলাকান্দির ব্লাডমাউথ ক্লাবকে ৫৪ রানে পরাজিত করেছে ইটখলা এসি। আগে ব্যাট করে ৪০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪১ রান করে তারা। রামচন্দ্র দাস ৯৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন ইক্রামুল আলি (৫৩) ও সৌরভ সাহা (৫১)। ব্লাডমাউথের রাজিত পাল চৌধুরী তিন উইকেট নেন। জবাবে ব্লাডমাউথ ক্লাব ৪০ ওভার খেলে ৭ উইকেটে ১৮৭ রান তুলতে সক্ষম হয়। সৌম্যকান্তি পাল ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ঋত্বিক ধর ও হর্ষ কুমার তিনটি করে উইকেট নেন। রাহুল সিংয়ের মতো রনজি ক্রিকেটার এপিসিসি ম্যাচ ফেলে কেন এ ডিভিশন খেলতে শিলচর ফিরে এলেন সেটা অনেকের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তবে রাহুলকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, পারিবারিক কারণে শিলচর ফিরে এসেছেন এবং এই সুযোগে সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলে দলকে ফাইনালে তুলতে সহায়তা করেছেন।

Spread the News
error: Content is protected !!