বডোফা উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মের জন্মদিন উদযাপন রাধামাধব কলেজে
বড়ো জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মের অবদান অনস্বীকার্য : অরুন্ধতী____
বরাক তরঙ্গ, ১ এপ্রিল : অসম সরকারের উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দ্দেশ মর্মে মঙ্গলবার শিলচর রাধামাধব কলেজ শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে বডোফা উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মের ৬৯তম জন্মজয়ন্তী ‘ছাত্র দিবস’ হিসাবে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হয়। কলেজ কনফারেন্স হলে এক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। এদিন উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাকে শ্রদ্ধা জানান কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকা, প্রশাসনিক ও লাইব্রেরি কর্মচারী সহ ছাত্র ছাত্রীরা। পিছিয়ে পড়া বড়ো সমাজের সামাজিক, শৈক্ষিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নে উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. অরুন্ধতী দত্ত চৌধুরী, আইকিউএসি-র কো-অর্ডিনেটর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর যথাক্রমে ড. সোনালি চৌধুরী ও ড. অরুণাভ ভট্টাচার্য, শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সন্তোষ বরা প্রমুখ।
এদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. অরুন্ধতী দত্ত চৌধুরী বলেন বড়ো জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্ম যে অবদান রেখে গেছেন তা অনস্বীকার্য। বড়ো জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে তিনি যে সংগ্রাম করে গেছেন তা চিরদিন মনে রাখবেন বড়ো সম্প্রদায়ের মানুষ। তিনি আরও বলেন উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্ম কেবল বড়ো জাতির জনক হিসাবে পরিচিত নন, তিনি একজন খ্যাতিসম্পন্ন ছাত্র ছিলেন। জনজাতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সঙ্গে বড়ো সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য যে সংগ্রাম চলছিল সেই সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেজন্য তিনি মানবতাবাদী ব্যক্তি হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে থাকবেন। ভূমিপুত্র বড়ো সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ে উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্ম যে সংগ্রাম করে গেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন অরুন্ধতী।
এদিকে আইকিউএসি-র কো-অর্ডিনেটর ড. সোনালি চৌধুরী ছাত্র দিবস উপলক্ষে উপস্থিত সকল ছাত্রছাত্রীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, একজন ছাত্র নেতা হিসাবে রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্ম ব্যাপক অবদান রেখে গেছেন। তার আদর্শকে পাথেয় করে ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে চলার আহ্বান জানান তিনি। আইকিউএসি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর অরুণাভ ভট্টাচার্য বলেন বড়ো সাহিত্যের উপর পিএইচডি করার সৌভাগ্য হয়েছিল তার। তিনি বলেন, কোন জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য হচ্ছে তার পরিচয়। বড়ো জনগোষ্ঠী হচ্ছে আসামের খিলঞ্জিয়া জাতি এবং উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্ম নিজ জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে যে সংগ্রাম করে গেছেন তা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সন্তোষ বরা নিজ বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি ছাত্রছাত্রীদের বডোফা উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মের আদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক জীবন দাশ, ড. কালিপদ দাশ, ড. সূর্য্যসেন দেব, ড. সিএইচ মণিকুমার সিংহ, ড. রাহুল শরনিয়া, ড. এম সানি সিংহ, ড. নবনিতা দেবনাথ, ড. স্বর্ণালী রায় চৌধুরী, নম্রতা নাথ, শবনম সারংশা প্রমুখ।
