বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা করবে না সিদ্ধান্তের সমর্থন বিজেপি সাংসদের
২ ডিসেম্বর : বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার রোগী ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন। তাঁরা চিকিৎসার জন্য ত্রিপুরা, কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের অনেক হাসপাতালে আসেন। এরপর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। যে দেশ তাদের জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে, তাকে অপমান করেছে বাংলাদেশ। ঠিক এই কারণেই দেশের অনেক হাসপাতাল ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে তারা বাংলাদেশ থেকে রোগীদের চিকিৎসা করবে না।
এবার সেই হাসপাতালগুলির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।শমীক ভট্টাচার্য তাঁরএক্স-হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “রাজ্য জুড়ে হাসপাতাল গুলি বার্তা দিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশী মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে না। আমি এই সিদ্ধান্ত পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। গোটা দেশের উচিত বাংলাদেশকে সমস্ত রকম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করে দেওয়া। বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর যে অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার তার কড়া প্রতিবাদ হওয়া উচিত।”
তবে শমীকের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই বিভিন্ন কথা লিখছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, কী হবে আদানির পাওয়ার সাপ্লাই? আরেকজন লিখেছেন, বিশেষ করে চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুতে গেলে দারুণ হবে। সেখানে বেশির ভাগ বাংলাদেশি রোগী আসেন।
এদিকে, বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করায় ভারতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত। একই সঙ্গে অনেকে বলছেন, যে দেশ থেকে তাঁরা এত সাহায্য পান, তাকে অপমান করার আগে দুবার ভাবা উচিত। ইতিমধ্যেই কলকাতার মানিকতলার একটি হাসপাতাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কলকাতার মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছেন তাঁরা। হাসপাতালের কর্মকর্তারা পিটিআই-কে বলেছেন, “তাঁরা যেভাবে বারবার ভারতকে অপমান করছে আমরা তা মেনে নিতে পারছি না।” তাঁরা আমাদের পতাকাকেও অপমান করেছে।