আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিহুর ছুটি অবাঞ্ছিত বিতর্ক, প্রতিক্রিয়া বিডিএফের

বরাক তরঙ্গ, ১০ এপ্রিল : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিহুর ছুটি ঘোষণা নিয়ে একটি অবাঞ্ছিত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্কের মূল হোতা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার জনৈক প্রবীণ সাংবাদিক।  আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিহু উপলক্ষে ছুটি নেই বলে সামাজিক মাধ্যমে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে একাংশ ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বুদ্ধিজীবী বরাক সম্বন্ধে আবার তাঁদের বিতৃষ্ণা উগড়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপার নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, এইধরনের বরাক বিদ্বেষী মনোভাব দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার একাংশ উগ্র জাতীয়তাবাদীরা লালন করে আসছেন যার উদাহরণ আবার দেখা গেল। তিনি বলেন, এই প্রবীণ সাংবাদিকদের উচিত ছিল মন্তব্য করার আগে আরও সংবেদনশীল হয়ে প্রকৃত খোঁজ খবর নেওয়া। কারণ প্রতিটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা জাতীয় স্তরে প্রকাশিত হয়, যাতে স্থানীয় ছুটি অন্তর্ভুক্ত না থাকাটাই স্বাভাবিক। তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতেও সেজন্য বিহুর ছুটি নেই। আসাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিন্তু এরপরও একদিনের জন্য বিহুর ছুটি মঞ্জুর করেছেন। এই সাংবাদিক বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে আরও বলেছেন যে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি ছাব্বিশ দিন পুজোর ছুটি দেওয়া হয় যা সর্বৈব মিথ্যা। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার একাংশ সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের এই ধরনের দায়িত্বহীনতার জন্যই বারবার দুই উপত্যকার সমন্বয় বিনষ্ট হয়।

আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিহুর ছুটি অবাঞ্ছিত বিতর্ক, প্রতিক্রিয়া বিডিএফের

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ‘বরাক ব্রহ্মপুত্র পাহাড় ভৈয়াম’ সমন্বয়ের প্রচেষ্টা করেছিলেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও সম্প্রতি শিলচরে এসে উভয় উপত্যকার মধ্যে সমন্বয়ের কথা বলেছেন, বরাকে অসম সাহিত্য সভার অধিবেশন‌‌‌ আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। যাকে বিডিএফও স্বাগত জানিয়েছে । কিন্তু এইধরনের চক্রান্ত চলতে থাকলে সেসব বিফল হতে বাধ্য। বিডিএফ এর পক্ষ থেকে দেবায়ন দেব এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

Spread the News
error: Content is protected !!