জামিরা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ভূপেন হাজরিকার জন্মদিন পালন
বরাক তরঙ্গ, ৯ সেপ্টেম্বর : পিএমশ্রী জামিরা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হল সুধাকণ্ঠ ড. ভূপেন হাজরিকার জন্মদিন। প্রদীপ প্রজ্বলন, তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে কার্যসূচির সূচনা হয়। প্রদীপ প্রজ্বলন করেন প্রধান অতিথি মণ্ডল সমল কেন্দ্র সমন্বয়ক সুব্রত রায়। এরপর শ্রদ্ধাভরে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন সহকারী শিক্ষক মোহনকুমার অগ্রহারী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অধ্যক্ষ সুফিয়ান সিদ্দিকি বড়ভূইয়া অনুষ্ঠানের রূপরেখা ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। প্রথমে ভূপেন হাজারিকার কালজয়ী গান ‘অসম আমার রূপহী’ পরিবেশন করেন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী উমানা সিদ্দিকা ও ফিরোজা বেগম। গানটির প্রস্তুতির জন্য তাঁদের পূর্বেই অনুশীলন করান শিক্ষিকা ও কণ্ঠশিল্পী মধুমিতা দেব।
মূল পর্বে স্মারক বক্তৃতা দেন শিক্ষিকা মধুমিতা দেব।
তিনি বলেন, ড. ভূপেন হাজরিকা কেবল গায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত সুরকার, গীতিকার, চিত্রশিল্পী, লেখক ও সফল চলচ্চিত্র পরিচালক। তাঁর সাহিত্য মানবতা ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের প্রতীক। সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য, ন্যায়বিচার ও সহানুভূতির উপর ভিত্তি করে রচিত তাঁর গানগুলি অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে বিশেষ জনপ্রিয়। তিনি অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সংস্কৃতি ও লোকসঙ্গীতকে হিন্দি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জাতীয় স্তরে পরিচিত করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে সেরা সঙ্গীত পরিচালনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৭), পদ্মশ্রী (১৯৭৭), পদ্মভূষণ (২০০১), দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৯২) এবং সংগীত নাটক আকাদেমি ফেলোশিপ (২০০৮) লাভ করেন। ২০১২ সালে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ ও ২০১৯ সালে ভারতরত্ন পুরস্কারে সম্মানিত হন। তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সংগীত নাটক আকাদেমির চেয়ারম্যান ছিলেন।
মধুমিতা দেব তাঁর বক্তৃতা শেষ করেন ‘মানুষ মানুষের জন্যে’ গানটি গেয়ে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আয়নাল হক বড়ভূইয়া, কমরুজ্জামান লস্কর, পুলকেশ দাস, আমির সোহেল মজুমদার, সোহেল আলম ও পরিমল দাস। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে কার্যসূচি সমাপ্ত হয়।