ভৈরবী-গুয়াহাটি যাত্রীরেল চালুর দাবিতে বিক্ষোভ

বরাক তরঙ্গ, ২৫ জুন : অবিলম্বে ভৈরবী-গুয়াহাটি যাত্রীরেল পরিষেবা চালু করা , ভৈরবী-শিলচর আরেকজোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন, বর্তমান ট্রেনে বগীর সংখ্যা বৃদ্ধি, ভৈরবী – সাইরেং রেল প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার ধরনা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদী কার্যসূচি পালন করে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতি, হাইলাকান্দি। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হাইলাকান্দি রেল স্টেশনে প্লেকার্ড সহযোগে দাবি আদায়ে এন এফ রেলওয়ের চরম উদাসীনতা এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বক্তব্য রাখেন নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতির সভাপতি প্রেমাংশু শেখর পাল, সহ সভাপতি শেখর চক্রবর্তী, সম্পাদক রঞ্জিত ঘোষ, ভগবানদাস সারদা, সুশীল পাল, কল্লোল চৌধুরী, ভক্ত সিং। বরিষ্ঠ নাগরিক সংস্থার সভাপতি নারায়ন দেবনাথ, বিশিষ্ট সাংবাদিক সদানন্দ ভট্টাচার্য, সুকোমল পাল প্রমুখ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ন দাস, সুদীপ পাল, লালা আনন্দময়ী সংঘের গোপাল দাস, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে যখন একের পর এক অত্যাধুনিক রেল পরিষেবার প্রসার ঘটছে, দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে চেনাব নদীর বুক চিরে রেল সেতু নির্মান করতে সক্ষম; ইলেকট্রিক, সেমি বুলেট এর মত  অত্যাধুনিক ট্রেনের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে রেল পরিষেবার খ্যাতি অর্জন করে কল্পনার সীমারেখা ভেদ করে যখন ভারতীয় রেল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে আর অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হাইলাকান্দি জেলা  এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণের কাজ কচ্ছপ গতিতে চলছে।

ভৈরবী-গুয়াহাটি যাত্রীরেল চালুর দাবিতে বিক্ষোভ

বদরপুর রেলওয়ে অ্যারিয়া ম্যানেজার অফিস ঘেরাও, বিক্ষোভ প্রতিবাদ কার্যসূচী একের পর এক ধর্না অনশন কার্যসূচির মত আন্দোলনের চাপ প্রয়োগ করেও রেল প্রশাসন নীরব শ্রোতার ভূমিকা পালন করছে। ভৈরবী-গুয়াহাটি ট্রেনের দাবি আদায়ে মন্ত্রী, বিধায়ক সাংসদদের কাছেও বারংবার আবেদন নিবেদন করা হয় স্মারকলিপিও প্রদান করা হয় কিন্তু বলা বাহুল্য কিছুই হয়নি। সুতরাং, কমিটির পক্ষ থেকে দাবি আদায়ে আন্দোলনকে আরো ব্যাপক এবং শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরাম এবং হাইলাকান্দি জেলাবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান করা হয়।

Author

Spread the News