ভৈরবী-গুয়াহাটি ট্রেনের দাবিতে ১২ ঘণ্টার হাইলাকান্দি বনধ সফল
লালা, কাটলিছড়ায় মিশ্র সাড়া
এবি লস্কর, লালা।
বরাক তরঙ্গ, ৮ এপ্রিল : হাইলাকান্দিবাসীর দীর্ঘদিনের গণদাবি ভৈরবী-গুয়াহাটি যাত্রীরেল পরিষেবা চালু না হওয়ার জন্য ১২ ঘণ্টার হাইলাকান্দি বনধ সফল হয়েছে। তবে জেলার প্রান্তিক শহর লালা, কাটলিছড়ায় মিশ্র সাড়া পড়েছে। ভৈরবী-গুয়াহাটি সরাসরি যাত্রীট্রেনের দাবিতে মঙ্গলবার জেলা বনধের ডাক দিয়েছিল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতি, ব্রডগেজ রূপায়ন সংগ্রাম সমিতি, জেলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, রেলযাত্রী অধিকার সুরক্ষা সমিতি, জেলা স্বাধীনতা সংগ্রামী সম্মেলন সহ মোট ২২ টি সংগঠন। লালা সহ গোটা দক্ষিণ হাইলাকান্দিতে আজ বনধে মিশ্র সাড়া লক্ষ্য করা গেছে।

লালা, কাটলিছড়ায় কোনও পিকেটার দেখা যায়নি। পিকেটার না থাকায় বনধ সর্বাত্মক হয় নি বলে মনে করা হচ্ছে। লালায় কিছু কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বহু দোকান খোলা ছিল। শহরের একমাত্র মার্কেট মেট্রো বাজার বন্ধ ছিল। আজ লালার সাপ্তাহিক বাজার দিন থাকায় বনধের প্রভাব তেমন পড়ে নি বলেও ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে কাটলিছড়ায়ও অনুরূপ মিশ্র সাড়া পড়েছে। সকালের দিকে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও পিকেটার বাহিনী না থাকায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানপাট খুলতে শুরু করে। তবে দক্ষিণ হাইলাকান্দি থেকে শিলচরগামী যাত্রীবাস চলাচল করেনি। হাইলাকান্দি শহরে বনধের প্রভাব ছিল। জরুরী পরিষেবা ব্যাতীত বেশীরভাগ দোকানপাট ছিল বন্ধ। রাস্তাঘাট ছিল প্রায় শুনশান।তবে বেলা বাড়ার সংগে সংগে রাস্তাঘাটে কিছু ব্যাক্তিগত বাহন লক্ষ্য করা গেছে। তবে সব মিলিয়ে পিকেটার্স ছাড়াই বনধ মুটামুটি সফল হয়েছে।

এদিকে, হাইলাকান্দি শহরে পুলিশের হাতে ৬ জন পিকেটার আটক হন। এরা হলেন রেলযাত্রী সুরক্ষা সমিতির সামসুল হক বড়ভূইয়া, অসিতকুমার চন্দ, রাজেশ পাল, সঞ্জয় চন্দ,পিন্টু শর্মা ও পিন্টু মালাকার। পরে বিকাল ৫টায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।