জলকর দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি বিডিএফের
বরাক তরঙ্গ, ২৬ জুন : পুরসভা কতৃপক্ষ এপ্রিল মাসে শিলচরের নাগরিকদের জলকর একতরফা ভাবে দ্বিগুণ করে দেবার খবর সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, পুরসভার মূল উদ্দেশ্য নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়া, করের নামে জনগনকে লুন্ঠন করা নয়। তিনি বলেন, গত চার বছর ধরে শহরে কোন নির্বাচিত পুরবোর্ড নেই। তাই নাগরিকদের মতামত পুরসভা কতৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবার কোন উপায় নেই। এমতাবস্থায় পুর এলাকার জলকর একতরফা ভাবে দ্বিগুণ করার অধিকার সিইও কোথা থেকে পেলেন ? তিনি বলেন যে তাঁরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
জয়দীপ এদিন আরও বলেন যে শহরের পৌর এলাকার নাগরিক পরিষেবা তলানিতে পৌঁছেছে। পানীয়জলের কথাই যদি ধরা হয়, অধিকাংশ পরিবারই পর্যাপ্ত জল পাননা। যদি কোন নাগরিক পাম্প লাগিয়ে অবৈধ ভাবে জল চুরি করে থাকেনও তা দেখার দায়িত্ব পৌর কতৃপক্ষ তথা প্রশাসনের। অথচ এই ব্যাপারে আজ অব্দি কোন সক্রিয়তা চোখে পড়েনি। একেতো সরবরাহ অপর্যাপ্ত এর উপর যে জল পাওয়া যায় তা অপরিশোধিত ও নোংরা। জয়দীপ বলেন, যেখানে কতৃপক্ষ যথাযথ পরিষেবা দিতে চূড়ান্ত ব্যর্থ সেখানে তাঁদের কর বাড়ানোর কোন যুক্তি বা অধিকার নেই। তাই অবিলম্বে এই বর্ধিত কর প্রত্যাহার করে আগের কর পরিকাঠামো বহাল রাখতে হবে। অন্যথা এই নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
বিডিএফ আহ্বায়ক মিনাজ লস্কর এদিন বলেন, পুর বোর্ডকে পৌর নিগমে রুপান্তরিত করার অজুহাতে দীর্ঘ চার বছর ধরে শিলচর পৌরসভার নির্বাচন আটকে রাখা হয়েছে। অথচ একই সময়ে প্রস্তাবিত হয়ে ডিব্রুগড় পৌরসভা ইতিমধ্যে পৌর নিগমের মান্যতা পেয়েছে। এরপর সেখানে নির্বাচন হয়ে বোর্ডও গঠিত হয়েছে। মিনাজ বলেন এর পেছনে চক্রান্ত রয়েছে। নির্বাচন ঝুলিয়ে রাখার পেছনে জনগনের দাবিদাওয়াকে উপেক্ষা করে শুধু আধিকারিকের মাধ্যমে বর্ধিত কর আদায় করাই প্রধান উদ্দেশ্য। তিনি বলেন এভাবে নির্বাচন না করিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের গনতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তিনি বলেন এই নিয়েও শীঘ্রই প্রতিবাদে নামবে বিডিএফ। শহরের সচেতন নাগরিকদেরও তিনি এই ইস্যুতে সরব হতে আহ্বান জানিয়েছেন। বিডিএফ এর পক্ষ থেকে আহ্বায়ক দেবায়ন দেব এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।