অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ ছাড়া বরাক উন্নয়ন বিভাগ অর্থহীন

প্রদীপ দত্তরায়
(লেখক ছাত্র সংগঠন আকসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গৌহাটি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত আইনজীবী)
১৬ জানুয়ারি : আর্থসামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া বরাক উপত্যকার উন্নয়নের জন্য পৃথক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ গঠন করা এখন একান্ত জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে। বরাকের বঞ্চনা দূর করতে নানা সময়ে পৃথক রাজ্যের দাবি বা পৃথক কেন্দ্রীয় শাসতিও অঞ্চল গঠনের দাবি বারবার তোলা হয়েছে। কিন্তু এসবের পক্ষে প্রবল জনমত গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। যার ফলে এই দাবির যথার্থতা থাকলেও তা পূরণে কেন্দ্র আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ গঠনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হতে পারে। বিগত সরকারগুলির আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বরাক উপত্যকাকে নানা দিক থেকে বঞ্চিত করে আসা হয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলের স্বাভাবিক প্রগতি থমকে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল উন্নয়নের হাত ধরে এগিয়ে গেলেও এ অঞ্চল এখনো মান্ধাতার আমলেই পড়ে রয়েছে। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার পাহাড় জমে আছে। এই সমস্যা নিরসনের জন্য কোন কার্যকরী পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। আমজনতার চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য কেবলমাত্র আশ্বাসের ফানুস ফুলিয়ে বড় করা হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি সড়কের উন্নয়ন, শিলচরে ফ্লাইওভার তৈরি ইত্যাদি অসংখ্য আশ্বাস দেওয়া হল সেগুলির বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নজরে পড়ছে না। বরাক উপত্যকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনার জন্য যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল সেগুলি নেওয়া হচ্ছে না। কেবলমাত্র মন্ত্রিসভায় বরাক উপত্যকা বিভাগ সৃষ্টি করেই এ অঞ্চলের উন্নয়ন সাধিত হতে পারে না। বিষয়টি গভীর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা প্রয়োজন। কর্মক্ষম মানুষদের জন্য যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে একটি অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আসা সম্ভব নয়। কৃষি, শিল্প, বন, খনি এবং সার্ভিস সেক্টরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কারণ এই সবগুলি ক্ষেত্রেই উন্নয়নের প্রচুর সম্ভাবনা নিহিত হয়ে আছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কোন সদর্থক প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে না। বরাক উপত্যকার কর্মক্ষম ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান দেওয়ার ব্যর্থতাকে সামনে রেখে আওয়াজ উঠানোর প্রয়োজন। এইসব সমস্যা নিয়ে যে বুদ্ধিজীবী মহলের সরব হওয়ার কথা তারা তা না করে দলীয় রাজনীতির মোহে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন। ফলে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রবলভাবে সরব হওয়ার মানুষের সংখ্যা কমে এসেছে। এটা বাস্তবে খুব উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু একটি মহল এসব অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করে আসছে এবং সাব্যস্ত করে যাবে। আজ না হোক কাল সচেতন মানুষের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তেই থাকবে।

কোনও একটি অঞ্চলকে উন্নত করে তুলতে হলে সেই অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থান পরিবর্তন আনার উপর জোর দিতে হয়। কৃষি, কৃষি নির্ভর ক্ষুদ্র শিল্প, শিল্প, পরিকাঠামো, কর্মসংস্থান এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, সার্ভিস সেক্টর প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হলেই একটি অনুন্নত জায়গা ধীরে ধীরে উন্নত হয়ে উঠতে পারে। উল্লেখিত সবগুলো থেকেই বরাক উপত্যকা ভীষণভাবে পিছিয়ে রয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং দু’ফসলা, ত্রিফসলা চাষ করার ব্যবস্থা এখানে প্রণীত হয়নি। অধিকাংশ কৃষক এক ফসলা চাষাবাদে নিমগ্ন রয়েছেন। ফলে কৃষিকে কেন্দ্র করে উপার্জনের যে পথ সেটা সংকীর্ণই থেকে গেছে। এর পরিবর্তন আনার জন্য যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন তা কিন্তু করা হচ্ছে না। কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সেচ প্রকল্প গ্রহণ করা জরুরী। কিন্তু এই উপত্যকায় সেচ প্রকল্প স্থাপনের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাঠ হয়েছে। এ অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ কৃত্রিম সার চড়া পথে মিজোরাম হয়ে মায়ানমারে পাচার হয়ে যায় এসব ঘটনাও অজানা নয়। কৃষির বৈজ্ঞানিক উপকরণ সরবরাহ করা জৈবিক শ্বাস সরবরাহ করা উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করা ইত্যাদি পদক্ষেপ যথাসময়ে করা হয় না। সরকারি তরফে যখন কৃষকদের কোন বীজ বণ্টন করা হয় তখন দেখা যায় সেই ফসলের মৌসুম প্রায় শেষ হতে চলেছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যে পতিত এবং অনুর্বর জমিকে সেচের মাধ্যমে উড়বার করে তোলা হয়েছে অসমের ক্ষেত্রে এসব পদক্ষেপ নজরে পড়ছে না। আর বরাক উপত্যকার অবস্থা তো ভয়াবহ। কৃষি নির্ভর কোন ক্ষুদ্র শিল্প তেমনভাবে গড়ে উঠছে না। অথচ ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কৃষি নির্ভর প্রচুর শিল্প গড়ে উঠছে। পশু পালন ও দুগ্ধ উৎপাদন একটি লাভজনক পেশা। কিন্তু এ উপত্যকায় এর কোন উপযোগ দেখা যাচ্ছে না। কোন এককালে কামরুল নামে একটি দুগ্ধ সমবায় সমিতি গড়ে উঠেছিল তার ওকাল মৃত্যু ঘটে গেছে। এর পরিবর্তে এখানে অন্য কোন দুগ্ধ উৎপাদক সংস্থা গড়ে ওঠেনি। বেসরকারি উদ্যোগে ছোট আকারে যেসব গড়ে উঠেছিল সেসব ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ গুজরাটের আনন্দ জেলার দুগ্ধ সমবায় সমিতির জয়যাত্রা থেকে আজ আমূল নামক দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী সারা ভারতে বিক্রি করে আসছে। আজ আমুল একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি।

বরাক উপত্যকায় এখন শিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত প্রচুর লোক কর্মহীনতায় ভুগছে। এই বিশাল সংখ্যক লোককে কর্মসংস্থান দেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। কেবলমাত্র সরকারি চাকরি দিয়ে এ বিশাল সংখ্যক বেকারকে নিয়োজন করা সম্ভব নয় এর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান গড়ে তুলতেই হবে। কিন্তু বিকল্প কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হলে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন।  এ অঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে না যাও একটি বৃহৎ শিল্প ছিল কাছাড় কাগজ কল তারও অপমৃত্যু ঘটে গেছে। এই জায়গায় নতুন কোনও শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ এখনো চোখে পড়ছে না। যদিও সরকারের তরফে ইথানল প্রকল্প সহ কয়েকটি প্রকল্প স্থাপনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কাগজ কল কে কেন্দ্র করে যে জনমত গড়ে উঠেছিল তার তীব্রতাও কমে এসেছে। এ অঞ্চলে যেসব কাঁচামাল পাওয়া যায় তাকে কেন্দ্র করে কলকারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সরকারের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে কেবল প্রতিশ্রুতি শোনা যায় সরকারি তরফ থেকে। পরিকাঠামোর দিক থেকে কোন স্থান যদি দুর্বল হয় তাহলে বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি এ অঞ্চলে কলকারখানা গড়ে তোলার জন্য কেন আগ্রহী হয়ে উঠবে এটা ভেবে দেখার দরকার।এক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং মূলধন সহায়তা দেওয়ার  নীতি গ্রহণ করে তাহলে বেসরকারি সংস্থাগুলি শিল্প কারখানা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে। অন্যথায় পশ্চাদপদ এ অঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন বা কলকারখানা স্থাপনের ঝুঁকি বেসরকারি সংস্থাগুলো কেন নিতে যাবে এটা একটা বড় প্রশ্ন। অথচ কর্মসংস্থান করে দিতে না পারলে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনা সহজ হবে না। কর্মসংস্থান নেই বলে এই উপত্যকার বেকাররা দক্ষিণ ভারতে পাড়ি দেয় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে। কারণ পরিবার প্রতি পালনের জন্য তাদের কর্মসংস্থান জুটাতেই হয়। অন্য রাজ্য গিয়ে খুব কঠিন শ্রমের মাধ্যমেই তাদের খুবই সামান্য রোজগার হয়। সেই রোজগার থেকে নিজেকে প্রতিপালন করে পরিবারের জন্য যৎসামান্যই অর্থ তারা পাঠাতে পারে।  আবার একাংশ শিক্ষিত বেকার অন্য রাজ্যে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে এখানে থেকেই রোজগারের চেষ্টা চালায়। অনেক শিক্ষিত যুবক আমাজন, সুইগি, ফ্লিপকার্ট, ডোমিনোজ  ইত্যাদি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে স্বল্প উপার্জনের ঝুঁকিপূর্ণ কর্মসংস্থান খুঁজে নিতে বাধ্য হয়। অনেকে বিভিন্ন শপিংমল অথবা বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থায় নিজেকে নিয়োজিত করে রাখতে বাধ্য হয়। কলকারখানা স্থাপিত হলে তাদের এসব কাজে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। এসব কাজে অল্প শিক্ষিত বেকাররাই যোগ দিবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কর্মসংস্থানের অভাবে উচ্চশিক্ষিত বেকাররাও এসব কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ ছাড়া বরাক উন্নয়ন বিভাগ অর্থহীন

বরাক উপত্যকার অর্থনীতিতে  চা-শিল্পের বিরাট অবদান রয়েছে। এই শিল্পকে কেন্দ্র করে ব্যাপক কর্মসংস্থান ঘটেছে। ব্রিটিশ শাসকের হাতে ১৮৫৫ সালে কাছাড়ের বড়সাঙ্গন জিপির কাছে রতনপুরে প্রথম চা বাগান স্থাপিত হয়। এরপর ধীরে ধীরে বরাক উপত্যকার নানা স্থানে এক এক করে চা-বাগান গড়ে ওঠে। চা-বাগান গড়ে ওঠার পর স্থানীয় মানুষ দিয়ে শ্রমিকের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয় দেখে ছত্রিশগড়, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা জেলা থেকে নানা প্রলোভন দিয়ে শ্রমিকদের এনে বাগানে নিযুক্তি দেওয়া হয়। ব্রিটিশ মালিকানাধীন চা-বাগান গুলিতে শ্রমিকদের শুধুমাত্র খেয়ে দেয়ে বেঁচে থাকার সুবিধা ছিল। এখন কিছু কিছু বিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে এবং বাগানের শ্রমিক পরিবারের সন্তানরা শিক্ষাগ্রহণ করতে পারছে। তবে আর্থিক দিক থেকে শ্রমিক পরিবার গুলি খুব একটা সবল হয়ে উঠতে পারছে না। যার ফলে বাগান শ্রমিকদের একটি অংশ চা-বাগানের কাজ ছেড়ে নির্মাণ শিল্পের শ্রমিক হিসাবে কাজে নিযুক্ত হয়ে গেছে। এই বিশাল শ্রমশক্তি ছিল বলেই নির্মাণ শিল্প এর উপত্যকায় কিছুটা এগিয়ে যেতে পেরেছে। কিছু কিছু দোস্ত চা বাগানের কথা বাদ দিলেও সার্বিকভাবে এ উপত্যকার চা বাগানগুলির উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু সেই তুলনায় শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পায়নি। একই কাজ করে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার শ্রমিকরা যে অর্থ রোজগার করেন বরাকের শ্রমিকরা ততটা অর্থ পান না। এই বৈষম্য দূরীকরণে কোন পক্ষই খুব একটা আগ্রহ দেখায় না।

বনাঞ্চলের সামগ্রী বাসবেতকে কেন্দ্র করেও অনেক শিল্প গড়ে উঠতে পারে। বনাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা ওষধি বৃক্ষ দিয়ে নানা ধরনের ঔষধ নির্মাণের সহায়ক সামগ্রী তৈরি হতে পারে। এসবের কোনো উদ্যোগ নেই। সরকার এসব ক্ষেত্র নিয়ে কোন ধরনের ভাবনা চিন্তা করছে বলেও আমার জানা নেই। আর পরিষেবা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা নেওয়া হচ্ছে না। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এ উপত্যকাকে ধারাবাহিকভাবে বঞ্চনা করে আসা হচ্ছে। যোগ্যতার প্রশ্ন তুলে কুযুক্তি দাঁড় করিয়ে এসবের ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। অথচ এ উপত্যকার মেধা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাহলে এ অঞ্চলের যারা সরকারি নিযুক্তির পরীক্ষায় বসে তাদের কোন যুক্তিতে মেধাহীন বলে তকমা সেঁটে চাকরি থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয় এ প্রশ্ন সবার মনেই বারবার উঠছে। সবকিছু বিবেচনা করে উপসংহার এটাই বলা যেতে পারে বরাকে পৃথক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ গঠন করে দেওয়া হলে এইসব ক্ষেত্রগুলিতে পদক্ষেপ নিয়ে এ অঞ্চলের মানবসম্পদকে উপযুক্ত কাজে লাগানো যেতে পারে এবং আর্থসামাজিক অবস্থার বিরাট পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে এ অঞ্চলের উৎপাদনশীলতা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে তা অসম রাজ্যের গড় উৎপাদন ছিল তাকে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। পৃথক বরাক উপত্যকা বিভাগ তৈরি করে দিয়ে জনসাধারণকে আশ্বাসের ঘেরাটোপে আবদ্ধ করে না রেখে বরাক উপত্যকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ গঠনের সবুজ সংকেত দিক রাজ্য সরকার এটাই এখন সময়ের দাবি। এই পরিশোধ গঠিত না হলে বরাক উপত্যকার কাঙ্খিত উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হবে না আর এ অঞ্চল থেকে বেকারত্বের অভিশাপ দূর করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন তাদেরও এ বিষয়টা ভেবে দেখা প্রয়োজন।

Author

Spread the News