মাতৃভাষা দিবসে বিশিষ্ট ছয় ব্যক্তিকে “উনিশে-একুশে সম্মাননা পদক” প্রদান বরাক নাগরিক সংসদের

বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২১ ফেব্রুয়ারি : বিশিষ্ট ছয়জন ব্যক্তিকে “উনিশে-একুশে সম্মাননা পদক” প্রদান করল বরাক নাগরিক সংসদ। শুক্রবার শিলচর প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে এই সম্মামনা প্রদান করে। সংবর্ধিতরা হলেন শিক্ষাবিদ-সাহিত্যিক সুনন্দা নন্দীপুরকায়স্থ, সমাজকর্মী- রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিপ্লবকান্তি পাল (নীলু), কবি বাবুলনারায়ণ কানু, শিক্ষাবিদ আইনজীবী নজরুল ইসলাম লস্কর, সমাজকর্মী ক্ষেত্রিমায়ুম কুন্দল সিংহ ও সঙ্গীতশিল্পী নেহাল কুমার।

এ দিন শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। আলোচনার বিষয় ছিল “ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য : বৈরিতা নয়, চাই সৌহার্দ্য” এ নিয়ে ধ্বনিত হয় মৈত্রীর বার্তা। পাশাপাশি সব ভাষিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ছয় বিশিষ্টকে “উনিশে-একুশে সম্মাননা পদক” প্রদান করা হয়। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয সনদপত্র, সম্মাননা স্মারক, সম্মাননা সুবর্ণপদক, কলম প্রভৃতি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক সংসদর সংযোজক অধ্যাপক-লেখক সুব্রত দেব। বক্তব্য রাখেন কবি-সাংবাদিক অতীন দাশ, নাগরিক সংসদের প্রধান সম্পাদক শংকর দে, প্রেস ক্লাব সহ-সভাপতি বিকাশ চক্রবর্তী, ইউটিডিসি সভাপতি সঞ্জিত দেবনাথ, আকসা উপদেষ্টা রূপম নন্দীপুরকায়স্থ, লাইফলাইন ফরএভার ফাউন্ডেশন সভাপতি সৌমিত্র দত্তরায়, সাংবাদিক চয়ন ভট্টাচার্য, সাংবাদিক বিক্রম সরকার প্রমুখ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী নেহাল কুমার। নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী রূপেন্দু দাস।

মাতৃভাষা দিবসে বিশিষ্ট ছয় ব্যক্তিকে "উনিশে-একুশে সম্মাননা পদক" প্রদান বরাক নাগরিক সংসদের

বক্তারা বলেন, ভাষা শহিদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যেতে পারে না । ১৯৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় ঢাকার রাজপথে যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই ইতিহাস চির উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রবিরোধী শাসকের সকল অপচেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হবেই।

Author

Spread the News