বিশ্ব মেলেরিয়া দিবসে  বাগান সহ বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি বড়জালেঙ্গা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

বরাক তরঙ্গ, ২৬ এপ্রিল : বিশ্ব মেলেরিয়া দিবসে জালেঙ্গার ৫ নম্বর পাথরটিলায় বাগানবাসীদের নিয়ে এক সচেতনতা সভার আয়োজন করে বড়জালেঙ্গা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সভায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন প্রণবকুমার দে (সার্ভাইলেন্স ইন্সপেক্টর), গৌতম ভট্টাচার্য (অবসর প্রাপ্ত অ্যাসিস্টেন্ট মেলেরিয়া অফিসার) ও অঞ্জনা চন্দ (এএনএম)। মশাবাহিত রোগ থেকে আমরা নিজেকে কীভাবে বাঁচিয়ে রাখতে পারি এ বিষয়ে আলোচনা করেন। এও বলেন, যদি কারও তিন দিনের বেশি জ্বর সহ শরীরে অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয় সঙ্গে সঙ্গে নিজ এলাকার আশা দিদিমনি, নার্স, এমপিডব্লিউ, কমিনিউটি স্বাস্থ্য আধিকারিক কিংবা পার্শ্ববর্তী যে কোনও সরকারি হাসপাতালের যোগাযোগ করতে হবে। মশাবাহিত সকল রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। বিস্তারিত আলোচনা পর উপস্থিত কয়েক জন জ্বর থাকা রোগীর রক্ত সংগ্রহ করা হয় এবং তাঁদের মশারী গুলোকে ঔষধিকরণ করে দেওয়া হয়। মশারী গুলোকে ঔষধিকরণ করার অর্থও বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে অন্তত ছয় মাস এই ঔষধযুক্ত মশারীতে যদি জীবাণু বহনকারী কোন মশা এসে বসে সঙ্গে সঙ্গে তার খারাপ জীবাণু নষ্ট হয়ে যায় কিংবা মরে যায়।

সভায় পরামর্শ হয়েছে যে রাতে কিংবা দিনে মশারী টাঙিয়ে ঘুমানোর। আর যতটুকু সম্ভব সবসময় ফুল সার্ট ও ফুল পেন্ট পড়ে থাকা বিশেষ করে ঝুপঝাড় বা জঙ্গলে অর্থাৎ যে সকল স্থানে মশার প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। কারণ ডেঙ্গুর মশা সাধারণত হাঁটুর নিচে কামড় দিয়ে থাকে। বিশেষত স্ত্রী জাতীয় মশাই মানুষের রক্ত শোষণ করে থাকে কারণ স্ত্রী জাতীয় মশা যখন গর্ভবতী হয় সেই সময় তাঁদের মানুষের রক্তের বিশেষ প্রয়োজন হয়। এদিকে, প্রতি বছর‌ই সাধারণত এপ্রিল থেকে প্রায় সেপ্টেম্বর মাস‌ পর্যন্ত মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পায় বা তাদের বংশ বিস্তার লাভ করে।

বিশ্ব মেলেরিয়া দিবসে  বাগান সহ বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি বড়জালেঙ্গা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

এ দিন মশারি ঔষুধিকরণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অঙ্গীন‌ওয়ারী ওয়ার্কার বিদ্যা সিং। অনুরূপভাবে বড়জালেঙ্গা হাসপাতালের অধীন নয়াবিল, আইরংমারা, বড়জালেঙ্গা ও কমলাবাড়ি সাব সেন্টারে  বিশেষ দিনটি পালন করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন নার্স অনুপমা রায়, মিনা মালা, সম্পা নাথ, মিতালী দাস সহ অন্যান্যরা। কমিউনিটি স্বাস্হ্য আধিকারিক সন্তোষ রবিদাস ও সামিম আক্তার সহ অন্যান্যরা। উপস্থিত থাকা আশা দিদিমনিরা হলেন মিনা তাঁতী, পিংকু দাস, রিনা দত্ত, সুজিতা আচার্য, গীতা হাজাম, অঞ্জনা দাস, দুর্গাবতি সোনার, শ্যামলী আচার্য, সুমি রায় সহ অন্যান্যরা এবং প্রায় প্রতিটি স্থানেই যথাযথ ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

Author

Spread the News