হাইলাকান্দিতে কর্মকাণ্ড, যোগ ও ভারতীয় দর্শণের পাঠক্রম সমাপ্ত
বরাক তরঙ্গ, ২৯ জুন : কুমার ভাস্কর বর্মা সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাচীন অধ্যয়ন সংস্থার অধীনে হাইলাকান্দির শ্রীরামকৃষ্ণ নিম্বার্ক সংস্কৃত বিদ্যাপীঠ আয়োজিত কর্মকাণ্ড, যোগ ও ভারতীয় দর্শণের পাঠক্রম এবং সংস্কৃত ভারতী হাইলাকান্দি জেলা শাখা আয়োজিত দশ দিবসীয় সংস্কৃত সম্ভাষণ শিবির সমাপন হল রবিবার। স্থানীয় শ্রীরামকৃষ্ণ নিম্বার্ক সংস্কৃত বিদ্যাপীঠে আয়োজিত এই সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন সংস্কৃত ভারতী, হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য এই সম্ভাষণ ও পাঠক্রম শিবির শেষ হবার কথা ছিল আগামী ২ জুলাই। কিন্তু বিশেষ কারণে তা আজ সপ্তম দিবসে শেষ করতে হয়েছে। আগামীতে এরূপ সম্ভাষণ ও পাঠক্রম শিবির আয়োজন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা এবং সনাতন কর্মকাণ্ড, যোগ ও ভারতীয় দর্শণ নিয়ে বিভিন্ন বক্তারা বক্তব্য রাখেন। সংস্কৃত ভাষা শিখলে নিজের মাতৃভাষাও ভালোভাবে শেখা হয় বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। তাছাড়া এইসব যোগ, কর্মকাণ্ড ও দর্শণ ভারতীয় সংস্কৃতির মূল রূপ। তাই প্রতিজন ভারতবাসীর এ বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ আবশ্যক। সংস্কৃত একটি প্রাচীন ভাষা এবং এই ভাষার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে। সুতরাং এই সংস্কৃত ভাষা নিয়ে এখন বৈজ্ঞানিকরাও বিশেষ গবেষণা করছেন বলে বক্তারা অভিমত পোষণ করেন। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সংস্কৃত ভারতী, হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়, সংস্কৃত ভারতী, হাইলাকান্দি জেলা সহ সভাপতি তথা বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ রঞ্জন কুমার ভট্টাচার্য্য, সংস্কৃত ভারতী, দক্ষিণ আসাম প্রান্তের বর্গ শিক্ষক শ্যামদাস সিংহ, বিদ্যাপীঠের অধ্যাপক ও সংস্কৃত ভারতীর জেলা সম্পাদক অনুপ কুমার ঘোষ এবং বিদ্যাপীঠের অন্য এক অধ্যাপক প্রশান্ত চক্রবর্তী প্রমুখ। বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় কুমার সিনহা চৌধুরী, প্রশান্ত শর্মা, কণৌজ ভট্টাচার্য, গৌরব ভট্টাচার্য, রত্নরাজ পণ্ডিত, রাজীব দে সহ অন্যান্যরা।

সভার শেষ লগ্নে বিদ্যাপীঠ ও সংস্কৃত ভারতীর জেলা কমিটির পক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে অভিজ্ঞান পত্র তুলে দেন উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। এরপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সম্ভাষণ শিবির ও পাঠক্রমের অনুষ্ঠান শেষ হয়।