পুলিশের সামনেই গুলি করে আতিক আহমেদকে হত্যা করল দুষ্কৃতি
১৫ এপ্রিল : সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের সামনেই সরাসরি মাথায় গুলি করে হত্যা করা হল আতিক আহমেদকে। শনিবার রাতে প্রয়াগরাজের জেল থেকে রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গ্যাংস্টার তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদকে। কথাটা বলার সময়ই কড়া নিরাপত্তা বলয়ের পুলিশের ভিড়ের মাঝেই একদল দুষ্কৃতি এসে সরাসরি এসে গুলি করে আতিকের মাথায়। গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়েন আতিক ও আশরাফ।
দিন দুয়েক আগে আতিকের ছেলে আসাদের পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়।
আসাদের শেষকৃত্যের পরেই গুলিতে মৃত্যু হল প্রাক্তন সাংসদ আতিকের। দিন চারেক আগেই আতিক আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাকে মেরে ফেলতে পারে পুলিশ।
ক দিন আগেই গুজরাটের সবরমতি জেল থেকে প্রয়াগরাজের আদালতে কড়া নিরাপত্তায় আতিককে আনা হয়েছিল। বন্দি আতিকের প্রয়াগরাজে আসার প্রতি মুহূর্তে দেখিয়েছিল দেশের নিউজ চ্যানেলগুলি। তখনই আশঙ্কা করা হচ্ছিল আতিককে হয়তো এনকাউন্টার করা হবে। কিন্তু তখন তেমন কিছু হয়নি। এক অপহরণ মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে আতিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি হয়েছিল।
গুজরাটের সবরমতী জেল থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের জেলে আনার সময় প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ। আতিক বলেন, ‘এটা সঠিক নয়, ওরা আমায় খুন করতে চায়।’ আতিকের সেই আশঙ্কাই সত্য়ি হল। আইনের চোখে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অপরাধীর প্রাণ কেড়ে নিল এনকাউন্টার।