পর্যালোচনা সভায় ভুয়ো চিকিৎসক ধরপাকড়ে কড়া নির্দেশ জেলা আয়ুক্তের
বিশেষ পারদর্শিতায় শংসাপত্র
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১১ সেপ্টেম্বর : কাছাড় জেলার মাসিক স্বাস্থ্যসেবা পর্যালোচনা বৈঠকটি জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা শাসক ড০ খালেদা সুলতানা আহমেদ, শাখা আধিকারিক দীপা দাস, ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ এমআই বড়ভূইয়া, এনএইচএম-এর জেলা কর্মসুচি প্রবন্ধক রাহুল ঘোষ, শিলচর সিভিল হাসপাতালের অধিক্ষক, জেলার সব স্বাস্থ্যখণ্ড অধিকারিক, শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিনিধি সহ বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এদিনের সভায় বিভাগীয় নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলায় শিশু মৃত্যুর হার লক্ষণীয়ভাবে কমেছে। শিশু মৃত্যুহার কমাতে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন জেলা কমিশনার।

বৈঠকে জেলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক মেগা হেলথ ক্যাম্পের প্রস্তুতি নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে শিলচর বিধানসভা কেন্দ্রে। ক্যাম্পের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে শিলচর হাইলাকান্দি রোডস্থিত টিচার্স ট্রেনিং কলেজ পার্শ্ববর্তী গ্রান্ড পেলেসে।পরবর্তীতে অনুমোদিত মাইক্রো-প্ল্যান অনুযায়ী অন্যান্য কেন্দ্রে একই ধরনের ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় ভুয়ো ও অযোগ্য চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা কমিশনার। জেলা ও ব্লক-স্তরের মনিটরিং টিমগুলোকে কড়া নজরদারি বজায় রাখার জন্য বলা হয়। অনিবন্ধিত ক্লিনিকের ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী জরিমানা, কারাদণ্ড এবং সিল করে দেওয়ার মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশও দেন তিনি ।
এছাড়া চা-বাগান এলাকায় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মজুরি ক্ষতিপূরণ প্রকল্প নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রতিটি যোগ্য উপভোক্তাকে বিলম্ব ছাড়াই সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেন জেলা শাসক।
টিকাকরণ বিষয়ে তিনি জেলায় শতভাগ শিশুদের আওতাভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এবং অতিরিক্ত মুখ্য চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য আধিকারিক (পরিবার কল্যাণ)-কে কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও, আরবিএসকে, জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচি ইত্যাদির পর্যালোচনা করা হয়, যেখানে কর্মকর্তাদের জাতীয় নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করে টিবিমুক্ত ভারত লক্ষ্য অর্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রসবের গুণগত মান নিয়েও আলোচনা হয়। বিনামূল্যে ও মানসম্পন্ন মাতৃসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদের নিরাপদ প্রসবের জন্য সরকারি হাসপাতাল বেছে নিতে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব। উল্লেখ্য, বিশেষ পারদর্শিতার জন্য আরবিএসকে-র বিক্রমপুর স্বাস্থ্য খন্ডের ডাঃ মৃগাঙ্ক শেখর ঘোষ, কালাইন সিএইচসি-র জিএনএম রুমা চক্রবর্তী, উদারবন্দ স্বাস্থ্য খন্ডের অ্যাকাউন্টেন্ট রুপালি দেব ও জেলা যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক কার্যালয়ের বরিষ্ঠ সহকারি হাবুল বর্মনকে শংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করেন জেলা আয়ুক্ত।