এএসইবি-র প্রদ্যুৎ চক্রবর্তীর বোলিং বিদ্যুতে কাত হলো বনরাজ ওয়ারিয়র্স
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১২ জানুয়ারি : প্রদ্যুৎ চক্রবর্তীর বোলিং বিদ্যুতে খসে পড়লো বনরাজ ওয়ারিয়র্স। সোনাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত স্টিল কর্নার সোনাই প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে রবিবার প্রদ্যুতের বোলিং ও ব্যাটিং অ্যাকশনে কাত হয় বনরাজ। প্রতিপক্ষ এএসইবি ক্লাব ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় বনরাজ ওয়ারিয়র্সকে। স্থানীয় নিত্যগোপাল উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত এদিনের ম্যাচে এএসইবি ক্লাব টস জিতে বনরাজ ওয়ারিয়র্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। সে সুবাদে প্রথমে ব্যাট ঘুরিয়ে বনরাজ ওয়ারিয়র্স ১৫ ওভারে সবকটি উইকেট মাত্র ৯৬ রানের টার্গেট খাড়া করে। তাদের আজাদ হোসেন লস্কর (অপ্পু) ৩০, হাসান লস্কর ১৭, পারছায়া দাস ১৪, হাসিনুল লস্কর ১১ রান করেন। প্রতিপক্ষের প্রদ্যুৎ চক্রবর্তীর বোলিং যাদুতে বনরাজের একেক ব্যাটার প্যাভিলিয়নমুখী হন। প্রদ্যুৎ একাই শিকার করেন ৫টি উইকেট। অন্যান্যদের মধ্যে তাপস বিশ্বাস ২টি ও সাগর বিশ্বাস ১টি উইকেট লাভ করেন।
জবাবি ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৭ রানের টার্গেট হেসেখেলে অতিক্রম করে নেয় এএসইবি ক্লাব। টার্গেট অতিক্রম করতে তারা ১১.৪ ওভারে খরচ করেন ৩টি উইকেট। বোলিংয়ের পর ব্যাটেও ঝড় তুলেন প্রদ্যুৎ চক্রবর্তী। করেন সর্বোচ্চ ৪২ রান। এছাড়াও ভাল রান পান সঞ্জীব দেব (৩১), সুব্রত দে (১৪)। বনরাজ ওয়ারিয়র্স-এর আজাদ হোসেন লস্কর (অপ্পু), রোহন মজুমদার ও হাসিনুল হল লস্কর ১টি করে উইকেট শিকার করেন। ম্যাচের সর্বাধিক ছক্কার এটু ইয়াম্মি ভাইটস-এর পুরস্কার লাভ করেন এ এস ই বি ক্লাবের সঞ্জীব দেব। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাহুল লস্কর।

এদিকে, সেরা অলরাউন্ড প্রদর্শনের জন্য স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি লাভ করেন জয়ী দলের প্রদ্যুৎ চক্রবর্তী। তার হাতে আকমল মোবাইল ম্যান অব দ্য ম্যাচের ট্রফি তুলে দেন মনা ফুলমালি ও মাহমুদ হোসেন। আগামীকাল মুখোমুখি হবে সোনাই টাইটান ও দৃষ্টি সোনাই।