দুর্ঘটনা : মৃতদেহগুলো চান্দখিরায় পৌঁছতেই শোকাবহ পরিবেশ
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২৩ জুলাই : নিলামবাজারের বেড়াজালে অসম-ত্রিপুরা জাতীয় সড়কে সংঘটিত দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের দেহগুলো পাথারকান্দির চান্দখিরায় পৌঁছতেই শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এমন আবহে ক্ষুব্ধ জনতা নিহতদের পরিবারকে সরকারি সাহায্য ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার দাবিতে চান্দখিরা কাঁঠালতলি বিকল্প সড়ক সহ অসম-ত্রিপুরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। এ খবর পেয়ে সার্কল অফিসার ও থানার ওসি বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছে অবরোধকারীদের বুজিয়ে সুজিয়ে তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন। আশ্বাস পেয়ে অবরোধ মুক্ত করেন ক্ষুব্ধ জনতা।
এদিকে, মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে গুয়াহাটি থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। বিধায়কের নির্দেশ পেয়ে থারকান্দি মণ্ডল সভাপতি শশীবাবু সিনহা প্রয়াতদের বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের বাকি সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। বিধায়ক এব্যাপারে সবধরনের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন মণ্ডল সভাপতি শশীবাবু সিনহা। চান্দখিরার বাসিন্দা তথা ব্যবসায়ী গুলজার হোসেন পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর ছয় বছরের এক পুত্রসন্তানকে ঘরে রেখে যাওয়া সে নিঃসন্দেহে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে যায়। এ দিন রাতেই মৃত অটো চালক রুহুল আলমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল এই পরিবারের চারজনের জানাজা সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে করিমগঞ্জের নিলামবাজার এলাকার বেড়াজালে অটো-হোন্ডাই ভেনুর মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় শিশু সহ ছয়জনের। দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করলে পৌঁছেন জেলাশাসক মৃৃদুলকুমার যাদব ও পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস। তাঁরা জনতাকে বুঝিয়ে অবরোধ মুক্ত করতে সক্ষম হন।
নিহতরা হলেন জাহেদা বেগম (২৫), বেদানা বেগম (৫০), রুহুল আলম (৩০), গুলজার হুসেন (৩০), সাজিদুল হুসেন (১৮ মাস) ও হাসিনা বেগম (৫০)। রুহুল ইসলাম অটো চালক। ব্যবসায়ী গুলজার হুসাইনের পুরো পরিবার ও শাশুড়ি। গুলজারের বাড়ি চানখিরার দক্ষিণ কচুবাড়ি। শাশুড়ি হাসিনা বেগমের বাড়ি পাথারকান্দির আসলকান্দির টুকরগ্রামে।