আরও একটি স্বপ্নপূরণ, লালা-জামিরায় স্টপেজ দূরপাল্লা ট্রেনের
বরাক তরঙ্গ, ১৮ সেপ্টেম্বর : অবশেষে দাবি পূরণ হল লালাবাসীর। রেলমন্ত্রক ১৬ সেপ্টেম্বর এসংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে লালা ও জামিরায় দুটি দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ ঘোষণা দিয়েছে। খুব শীঘ্রই কবে থেকে এই দু’টি স্টেশনে ট্রেন থামবে তা জানিয়ে দেবে রেলমন্ত্রক বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। আর এই খবর লালায় এসে পৌছাতে সমগ্র লালায় উল্লাস দেখা দেয়। সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে এই খবর স্ক্রল হতে দেখা যায়। লালাবাজার স্টেশন ডিমান্ড কমিটির এদিন তো আর খুশির সীমা ছাড়িয়ে যায়। এদিন সন্ধ্যায় ডিমান্ড কমিটি এক সভায় বসে রেলমন্ত্রক সহ স্টপেজের দাবিতে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন থেকে লালাবাজার স্টেশনে কলকাতা-সাইরাং ও সাইরাং-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার দাবি জানিয়ে কম আন্দোলন হয়নি। এনিয়ে কাটলিছড়ার বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর, জেলা পরিষদ সদস্য দিলোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া, সাংসদ কৃপানাথ মালা মাঠে নামেন। তাঁরা পৃথক পৃথক ভাবে লালাবাজার স্টেশনে এই দুটি দূরপাল্লার ট্রেন থামানোর দাবি জানিয়ে মালিগাঁওয়ে থাকা রেলের অ্যারিয়া ম্যানেজার সহ অনান্যদের সঙ্গে দেখা করে তারা স্মারকপত্র তুলে দেন। শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নিয়ে লালাবাজার ও দক্ষিণ হাইলাকান্দির প্রত্যন্ত এলাকা জামিরা রেল স্টেশনে এই দু’টি দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ দিয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি কবে থেকে এই দুটি ট্রেন লালা ও জামিরায় থামবে। রেলমন্ত্রকের এই চিঠিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে আপাতত পরীক্ষামূলক এই দু’টি স্টেশনে ট্রেন থামবে। তবে কবে থেকে এবং কত মিনিট থামবে তাও বলা হয়নি। সেই যাই হোক অবশেষে রেলমন্ত্রক ট্রেন থামার ফরমানে লালায় উল্লাস দেখা দিয়েছে। এখন কবে থেকে ট্রেন থামছে তা দেখতে লালাবাসী মুখিয়ে রয়েছেন। এক কথায় সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে লালাবাসীর স্বপ্নপূরন হল।