সাত বছর পর সাধূকুটিতে চড়কপূজা, ভিড় ছিল লক্ষণীয়
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২১ মে : লোয়াইরপোয়ার সাধূকুটিতে ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজা ও মেলা জনজোয়ারে ভাসল। এলাকা বৃষ্টির মাঝেও ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সাত বছর পর আবার ফিরে এলো চড়কের প্রাণবন্ত আমেজ পাথারকান্দির লোয়াইরপোয়া ব্লকের আওতাধীন গ্রাম সাধূকুটিতে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে আয়োজিত হল ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজা ও মেলা। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বুধবার দিনভর চলে এই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে স্থানীয় জনগণ ও ভক্তদের মধ্যে দেখা গেলো ব্যাপক উৎসাহ ও ভক্তি। বছর ঘুরে চৈত্রের শেষ প্রান্তে এই চড়ক পূজা সাধারণত কালী ও শিবের আরাধনায় সম্পন্ন হয়। এই উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল শৈব গুরুরা প্রদর্শিত বিভিন্ন আধ্যাত্মিক সাধনা, নাচ ও কসরত। বিশেষ করে শিব-কালী নৃত্যকে ঘিরে মঞ্চে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে দেখা যায় ধর্মীয় আবেগের উচ্ছ্বাস। আদিশক্তি কালীমার শক্তিকে প্রতিফলিত করতে এই নৃত্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন আয়োজকরা।

সাধূকুটির রাধাপ্যারী শিবশক্তি চড়কপূজা সংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন ওস্তাদ নিরেন্দ্র দাস। তিনি জানান, “চৈত্র মাসজুড়ে আমরা ত্রিপুরা ও বরাক উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় চড়কপূজা করি। এবার স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধে সাত বছর পর সাধূকুটিতে পূজার আয়োজন করলাম। সকালের বৃষ্টিতে একটু দুশ্চিন্তা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হয়, আর সেই সঙ্গে দর্শনার্থীদেরও ভিড় বাড়তে থাকে। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে স্থানীয়ভাবে নবনির্বাচিত ওয়ার্ড সদস্যার প্রতিনিধি দীপঙ্কর পাল জানান, “সাত বছর পর আমাদের এলাকায় আবার চড়কপূজা ফিরে এসেছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের বিষয়। ভবিষ্যতে আমরা সময়মতো নিয়মিত এই পূজার আয়োজন করব। তিনি চড়কপূজা সংঘের সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং এই সফল আয়োজনের জন্য এলাকাবাসী ও সকল ভক্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
