আদি শঙ্করাচার্য হলেন অদ্বৈত বেদান্তের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রবক্তা : বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১২ মে : রবিবার সমগ্র হিন্দু সমাজের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আজ আদি শঙ্করাচার্যের ১২৩৬ তম আবির্ভাব দিবস। ভারতের অন্যতম কিংবদন্তি ধর্মীয় নেতা তথা দার্শনিক জগৎগুরু শঙ্করাচার্য কেরলের কালাডিতে এক রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতীয় ধর্ম সংস্কৃতির প্রতি ওঁর অবদানকে সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শঙ্করাচার্য জয়ন্তী পালন করা হয়। শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আদি জগৎগুরু শঙ্করাচার্য্যের আর্বিভাব তিথি পালন করা হয়।
এদিন সকাল থেকে আদি গুরু শঙ্করাচার্য্যের জীবনী পাঠ, গীতা পাঠ, ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন, দুপুরে উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরন সহ আরো ধর্মীয় রাজ্য সূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।জগৎগুরু আদি শংকরাচার্যের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ। তিনি বলেন, জগৎগুরু শঙ্করাচার্য একজন যোগী, একজন জ্ঞানী, একজন ভক্ত, একজন ধর্ম সংস্কারক, একজন প্রতিভাধর কবি, জ্ঞানের কোনো শাখাকে অনাবিষ্কৃত রাখেননি। তাঁর সময়ের সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিরাও যুবক শঙ্করের অতিমানবীয় বুদ্ধির সামনে মাথা নত করেছিলেন। তিনি শুধু অদ্বৈত দর্শনের একজন প্রবক্তা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন মহান অধিবিদ্যাবিদ, একজন দার্শনিক পার-উৎকর্ষ, একজন অদম্য যুক্তিবিদ, একজন গতিশীল তরুণ ব্যক্তিত্ব, একজন অসাধারণ নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি, যিনি তার সময়ের ভারতকে একত্রিত করেছিলেন। যতদিন আকাশে সূর্যের আলো থাকবে ততদিন তাঁর শিক্ষা জ্বলতে থাকবে।
সেদিন অন্যান্যদের মধ্যে সহযোগিতায় ছিলেন, রামেশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, রামু দেবনাথ, বিপ্লব দে, সুমন মিত্র, রূপম মিত্র কাবুল মিত্র, নিউটন মিত্র, ছোটন দে, রাকেশ মিত্র, অমল বনিক, বরুণ দে, শংকর দত্ত, প্রণব দত্ত শিখা দে, রেনু বালা চৌধুরী, বিউটি দে, তুলি দাস, পিয়ালী পাল সহ অন্যান্যরা।