গোপন আস্তানা থেকে উদ্ধার অপহৃত নাবালিকা, গ্রেফতার অপহরণকারী
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ১৫ জুলাই : পক্ষকাল নিখোঁজ থাকার পর শেষমেশ পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতা ও পাতা জালে ধরা পড়ল অপহৃত নাবালিকা এবং অভিযুক্ত অপহরণকারী যুবক। এ ঘটনায় স্থানীয় মহলে স্বস্তি ফিরে এলেও, বিষয়টি ঘিরে আলোচনার ঝড় উঠেছে পুরো এলাকায়। ঘটনার সূত্রপাত গত ১ জুলাই। বৈঠাখাল এলাকার এক নাবালিকা প্রতিদিনের মতোই পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। সে সময় সুযোগ বুঝে এবং ফুঁসলিয়ে তাকে অপহরণ করে শ্রীভূমি থানার অন্তর্গত ধনিভর করামণি গ্রামের আমির উদ্দিন নামে এক যুবক। ঘটনার পরপরই মেয়েটির বাবা বাজারিছড়া থানায় এসে একটি অপহরণ সংক্রান্ত এজাহার দায়ের করেন।
ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে বাজারিছড়া থানার পুলিশ অবিলম্বে অভিযান শুরু করে। থানার এসআই প্রভাকর চৌধুরীর নেতৃত্বে একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে পুলিশের সদস্যরা সম্ভাব্য স্থানগুলোতে নজরদারি শুরু করেন। তবে অভিযুক্ত যুবক একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করে নিজেকে গোপন রাখতে সক্ষম হয়, ফলে তাকে আটক করা পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে এক গোপন আস্তানায় হানা দিয়ে অপহৃত নাবালিকা সহ আমির উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের থানায় আনা হয় এবং প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় নাবালিকাকে সেদিনই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে নিলামবাজার হোমে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে আমির উদ্দিনকে শ্রীভূমি জেলা সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে বিচারাধীন হিসেবে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

এদিকে, এদিনই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নাবালিকাকে জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় এবং তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়। পরে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বাজারিছড়া থানার এসআই প্রভাকর চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই ধরনের সংবেদনশীল ঘটনায় পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে থাকে। নাবালিকার সুস্থতা ও নিরাপত্তা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার ছিল।