একুশের চেতনায় বিশাল প্রদীপ পদযাত্রা করিমগঞ্জে
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২০ জুলাই : একুশের চেতনায় করিমগঞ্জে বিশাল প্রদীপ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হল। শনিবার জেলা শাসকের বাংলোর সামনের শহিদ জগন্ময় ও দিব্যেন্দু’র শহিদ বেদী থেকে “প্রদীপ পদযাত্রা”র সূচনা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে পদযাত্রার সূচনা করেন নির্মাল্য দাস ও পরিমল রায়। শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানান বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।
এরপর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের প্রদীপ ও বাংলা ভাষার নানা বার্তার হাতে
হাতে নিয়ে পদযাত্রায় সামিল হন। পদযাত্রা শহিদ সরণী হয়ে ১৯৮৬ সালের ২১ জুলাই শহিদের রক্তে রাঙ্গানো ভূমিতে (পূর্ত বিভাগের কার্যালয়ের সামনে যেখানে জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস শহিদ হয়েছিলেন) শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে মালা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন জেলা বিজেপির সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য ও অপরূপ দাস। এরপর টাউন কালীবাড়ি রোড, রাজবাংলা রোড, চন্তর বাজার হয়ে শহিদ ক্ষুদিরাম সরণীতে শ্রদ্ধা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন আইনজীবী পিকলু দাস ও শহিদ পরিবারের সদস্য শুভ্রজ্যোতি দেব।

সেখান থেকে প্রদীপ পদযাত্রা মিশনের সামনে হয়ে শম্ভু সাগর উদ্যানের জাতীয় শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। জাতীয় শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী ও প্রদীপ প্রজ্বলন করেন রবীন্দ্র সদন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ শর্মিষ্ঠা খাজাঞ্চি ও করিমগঞ্জ পুরসভার সহসভাপতি সুখেন্দু দাস। সমবেত মুক্ত কণ্ঠে দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন মৌসুমী দাস বণিক সহ অন্যান্য শিল্পীরা।

এদিকে, আয়োজক কমিটি বরাকের আওয়াজের পক্ষে আহ্বায়ক অরূপ রায় ২১ জুলাই সকাল আটটায় একযোগে শহরের প্রতিটি শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী ও সন্ধায় প্রতিটি বাড়ি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান,
সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক ও বেসরকারি কার্যালয়ে দু’টি করে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করার জন্য আহ্বান জানান। পাশাপাশি সঙ্গে আজকের পদযাত্রায় সবার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।