বাল্যবিবাহ : পদ হারাতে পারেন স্বাধীনবাজার জিপির এক গ্রুপ সদস্যা
পুলিশের অভিযোগে বাল্যবিবাহ প্রমাণ
বরাক তরঙ্গ, ২১ জুন : পুলিশি তদন্তে বাল্যবিবাহে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হল সোনাই আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের অধীনস্থ স্বাধীনবাজার জিপির এক গ্রুপ সদস্যের বিরুদ্ধে। জিপির ৩ নম্বর গ্রুপ সদস্যা রুবা বেগম লস্কর বাল্যবিবাহে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সোনাই উন্নয়ন খণ্ডের আধিকারিক মুকুল বসুমতারির কাছে অভিযোগনামা দাখিল করেছিলেন গ্রুপের প্রাক্তন সদস্য তথা নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলাম উদ্দিন বড়ভূইয়া। এই অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে সংশ্লিস্ট বিভাগ। পরে বিডিও-র নির্দেশে গ্রুপ সদস্যা রুবা বেগমের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে সোনাই পুলিশ। সোনাই থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিশ্বজিৎ নাথের নেতৃত্বে পুলিশের দল তদন্ত শেষ করে বিডিও-র কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। পুলিশি তদন্তে রুবা বেগম বাল্যবিবাহে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পুলিশের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট কাছাড় জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিকের কাছে প্রেরণ করেন সোনাই উন্নয়ন খণ্ডের আধিকারিক মুকুল বসুমতারি।
বুধবার জেলা পরিষদের সিইও-র কাছে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন বিডিও। প্রতিবেদনে বিডিও উল্লেখ করেন যে, আধার এবং প্যান কার্ডের রেকর্ড অনুসারে নির্বাচিত গ্রুপ সদস্যা রুবা বেগম লস্করের জন্ম ১৫/০৫/১৯৯১ সালে হয়েছিল। সোনাইয়ের মুসলিম বিবাহ নিবন্ধক ও কাজী এসএ মজুমদার কর্তৃক জারি করা বিবাহ নিবন্ধন শংসাপত্র (খাবিন নামা) অনুসারে তিনি ২৩/০২/২০০৭ তারিখে জামির হোসেন লস্করের সঙ্গে বিবাহে আবদ্ধ হয়েছিলেন। অতএব বিয়ের সময় তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর ৯ মাস ৮ দিন। এতে স্পষ্ট ভাবে নিশ্চিত হয়েছে যে, ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল রুবা বেগমের। তাহলে শপথের আগে পদ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন রুবা বেগম।
