মক্কায় মৃত কাছাড়ের হাজির পরিবারকে শান্তনা জেলা হজ কমিটির প্রতিনিধি দলের
বরাক তরঙ্গ, ১১ জুন : হজব্রত পালন করতে গিয়ে রবিবার মক্কায় মারা যাওয়া কাছাড় জেলার হাজি জসির উদ্দিন মজুমদারের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নিলেন জেলা হজ কমিটির এক প্রতিনিধিদল। জেলা হজ কমিটির সদস্য আলহাজ সামিনুল হক লস্করের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সোমবার বিকেলে প্রয়াত হাজি জসির উদ্দিন মজুমদারের শিলচর তোপখানাস্থিত বাসভবনে গিয়ে তাঁর পুত্রকন্যাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গভীর সমবেদনা ও শান্তনা জানিয়ে বলেন, আপনাদের বাবার কপালেই লিখা ছিল পবিত্র মক্কাভূমিতে মৃত্যু। এটা কেউ খণ্ডন করতে পারবে না। মক্কায় মৃত্যু এবং জান্নাতুল মোয়াল্লায় শায়িত হয়ে থাকা সৌভাগ্যের বিষয়। অনেকের ভাগ্যে সেটা জুটে না বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, এদিন মক্কার হরম শরিফে আসরের নামাজ শেষে প্রয়াতের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। প্রয়াত হাজির মৃত্যুর প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য কাজকর্মে সহযোগিতা করার জন্য হাজির বাড়ি থেকেই টেলিফোনে জেদ্দাস্থিত ভারতীয় কনসুলেট কর্মচারী তথা বরাক উপত্যকার সন্তান মোহাম্মদ লাল মিয়ার সঙ্গে কথা বলেন প্রাক্তন খাদিমুল হুজ্জাজ আলহাজ মিলন উদ্দিন লস্কর। লাল মিয়া আশ্বস্থ করেন প্রয়াতের জানাজা শেষ হবার পর এ ব্যাপারে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন চিন্তার কারণ নেই। এছাড়াও মক্কায়, থাকা কাছাড় জেলা হজ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তৈমুর রাজা চৌধুরীও প্রয়াত হাজির গ্রুপের খাদিমুল হুজ্জাজ মওলানা এ টি এম জাকারিয়ার সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে পরিবারের সদস্যদের জানান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এসময় প্রয়াতের বাড়িতে হাজির হন কাছাড় জেলা জমিয়ত উলামার সভাপতি তথা তোপখানা মাদ্রাসার প্রধান মওলানা মাহমদুল হাসান। মওলানা মাহমদুল হাসান পরিবারের সকল সদস্য ও হজ কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রয়াত হাজি জসির উদ্দিন মজুমদারের রুহের মাগফেরাত, পুত্রকন্যাদের ধৈর্য ধারণ করার শক্তি এবং বরাক উপত্যকা তথা ভারতের হজযাত্রীদের হজ কবুল করার জন্য পরম করুণাময়ের উদ্দশ্যে বিশেষ মোনাজাত করেন। প্রতিনিধিদলে জেলা হজ কমিটির সদস্য সামিনুল হক বড়ভূইয়া ছাড়াও কাছাড়ের জেলাশাসকের কার্যালয়ের হজ শাখার বরিষ্ঠ প্রশাসনিক সহায়ক সামসুল হক লস্কর, প্রাক্তন খাদিমুল হুজ্জাজ আজিজুর রহমান চৌধুরী, মিলন উদ্দিন লস্কর, লুৎফুর রহমান বড়ভূইয়া (বাবলা), আলিম উদ্দিন আহমদ, আমির হোসেন লস্কর, রিয়াজ উদ্দিন লস্কর প্রমুখ ছিলেন।
এ দিকে, প্রয়াত হাজি জসির উদ্দিন মজুমদারের পুত্র যথাক্রমে ফারুক হোসেন মজুমদার, পারুল হোসেন মজুমদার, ফকরুল হোসেন মজুমদার, আক্রামুল হক মজুমদার ও কন্যা লাভলি বেগম মজুমদার তাঁদের পরিবারের দুঃসময়ে পাশে দাড়ানোর জন্য হজ কমিটির সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।