পরিবার এনজিও-র ব্যবস্থাপনায় কৃষক সচেতনতা সভার নয়াগ্ৰামে

বরাক তরঙ্গ, ১৯ আগস্ট : বেরেঙ্গা পঞ্চম খণ্ডের নয়াগ্ৰামে পরিবার এনজিও-র ব্যবস্থাপনায় জেলা কৃষি বিভাগের কৃষক সচেতনতা সভার আয়োজন করা হয়। কৃষি সচেতনতা সভায় মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি বিভাগের জেলা কৃষি বিভাগের ডিও এ আর আহমেদ ও সম্মানিত অতিথি এডিও আরিশমিতা গগৈ, অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর বিবি নার্জারি, অ্যাসিস্টেন্ট ইন্সপেক্টর পবন চক্রবর্তী, সমাজকর্মী কেএফ লস্কর,খালেদ লস্কর প্রমুখ। সোমবার আয়োজিত সভায় বক্তব্যে জেলা কৃষি বিভাগের আধিকারিক এআর আহমেদ বলেন, কৃষিকাজের ও কৃষকদের উন্নতির জন্যই জেলা কৃষি বিভাগ রয়েছে। সরকার ও কৃষি বিভাগ চাইছে কৃষকদের উন্নতি।কিন্তু কিছু-কিছু ক্ষেত্রে কৃষি কাজের উন্নতি ঘটাতে কৃষকদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের ৭০ শতাংশ জনেরও বেশি জনসংখ্যা এখনও তাদের জীবিকার জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল হচ্ছে, আগের তুলনায় কৃষি কাজেরও কিছু-কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটছে আবার কিছু-কিছু ক্ষেত্রে অবনতিও ঘটছে, কারন সত্যিকারের কৃষকেরা কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের অভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন, এইসব সমস্যার বিষয় গুলোকে উপস্থিত কৃষকদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়ে দেন তিনি।

অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর বিবি নার্জারি কৃষি উৎপাদনকে কিভাবে বাড়ানো যায় এবং কৃষি বিভাগের সঙ্গে কৃষককেরা যুক্ত হয়ে যৌথভাবে একে-অপরের সাহায্যের মাধ্যমে কৃষিকাজকে উন্নত করা যায় এইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সুদীর্ঘ সময় উপস্থিত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

পরিবার এনজিও-র সম্পাদিকা শারিকা আজমি বড়ভূইয়া বলেন, উপস্থিত জেলা কৃষি বিভাগের আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই প্রথমবারের মতো কৃষি বিভাগের কোনো কৃষি বিষয়ক উন্নতির লক্ষ্যে আলোচনা সভা বেরেঙ্গা অঞ্চলে প্রথমবারের মতো হচ্ছে, এবং কৃষিকাজের ও কৃষকদের উন্নতির জন্য খেটে-খাওয়া কৃষকদের নিয়ে। অথচ এই বেরেঙ্গা শিলচর শহরের নিকটে   থাকা একটি কৃষিপ্রধান গ্ৰাম,এই গ্ৰামে খেটে-খাওয়া কৃষকদের সংখ্যাটা বেশি। যেকোনো সমাজের বা রাষ্ট্রের উন্নতি কৃষকদের দ্বারাই হয়, কৃষকরা যখন বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত হন, তখন সেই দেশের উন্নতিতে বিঘ্ন ঘটে, তাই কৃষকদের সমাজের মেরুদণ্ড হিসেবে সর্বক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজকর্মী মণিতন সিংহ।  অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন পরিবার এনজিও-র কোষাধ্যক্ষ তথা আইনজীবী রিজাউল হক বড়ভূইয়া। উপস্থিত ছিলেন এনজিওর সভাপতি আবেদ রসুল লস্কর, সদস্য আক্তার হোসেন লস্কর, অমিতা বেগম লস্কর, আলতাফ হোসেন লস্কর, মঈন উদ্দিন লস্কর, রহিম উদ্দিন লস্কর, কবির উদ্দিন লস্কর প্রমুখ।

Spread the News
error: Content is protected !!