পালংঘাট এমজি মডেল হাসপাতালে এক্স-রে ইউনিট চালু
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৭ আগস্ট : গ্রামীণ জনগণের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও সহজলভ্য ও কার্যকর করে তুলতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল কাছাড় জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য সমিতি। বুধবার পালংঘাটের এমজি মডেল হাসপাতালে একটি আধুনিক এক্স-রে ইউনিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়, যা ধলাই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্তর্গত এই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বহু প্রত্যাশিত একটি সংযোজন।
এই এক্স-রে ইউনিটের সূচনার মাধ্যমে পালংঘাট এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজারো মানুষ তাদের প্রাথমিক এবং জরুরি রোগ নির্ণয়ের জন্য শিলচর বা অন্যত্র যেতে বাধ্য হতেন সেই দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটল। এখন থেকে স্থানীয় পর্যায়ে হাড়ভাঙা, বক্ষ সংক্রান্ত সমস্যা, ফুসফুসজনিত সমস্যা ইত্যাদি রোগের তাৎক্ষণিক স্ক্যান ও নির্ণয় সম্ভব হবে।

এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন ধলাই বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস। তিনি বলেন, “একটি এক্স-রে যন্ত্র শুধুই প্রযুক্তি নয়, এটি একটি জীবনের গল্প, একটি পরিবারের স্বস্তি, একজন রোগীর আরোগ্যের প্রথম ধাপ। এই উদ্যোগের ফলে আমাদের মানুষদের আর ছোট ছোট সমস্যার জন্যও শহরে ছুটতে হবে না। গ্রামে বসেই এখন তারা পাবেন মানসম্পন্ন প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা। এটি সঠিক সময়ে সঠিক রোগ নির্ণয় এবং দ্রুত চিকিৎসার দরজা খুলে দেবে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাছাড় জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডাঃ শিবানন্দ রায়, ধলাই BPHC-এর ভারপ্রাপ্ত SDM ও HO ডাঃ মৃদুল দেওরী, জেলাস্তরের এন এইচ এচ এর জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাহুল ঘোষ সহ একাধিক স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং কর্মী। স্থানীয় মানুষ, জনপ্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত কর্মীবৃন্দ এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে এক উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত করেন।
ডাঃ শিবানন্দ রায় বলেন, “গ্রামীণ স্বাস্থ্যব্যবস্থায় রূপান্তর আনার লক্ষ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে। এই এক্স-রে ইউনিট চালু হওয়ার ফলে হাসপাতালে রোগীর ভিড় কমবে, রোগ নির্ণয়ে সময় কম লাগবে এবং চিকিৎসার মান বাড়বে।”
তিনি আরও জানান, “সকল নাগরিক যেন তাদের নিজ এলাকায় সময়মতো স্বাস্থ্যসেবা পান এটাই আমাদের লক্ষ্য। এই পরিষেবা চালুর মাধ্যমে পালংঘাটের জনগণ যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই জেলার সার্বিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।”