চেয়ারপার্সন রীতা সিনহার উদ্যোগে পাথারকান্দিতে একদিনে তিনটি প্রকল্পের সূচনা
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১ আগস্ট : অসম সরকারের অধীন বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি উন্নয়ন পর্ষদের (BMDC) উদ্যোগে পাথারকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের তিনটি স্থানে একসঙ্গে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সামাজিক অবকাঠামোর শিলান্যাস করা হলো। পর্ষদের চেয়ারপার্সন রীতা সিনহার নেতৃত্বে দিনটি ঐতিহাসিক রূপ নেয়।এই দিনে প্রথমে তিনি পাথারকান্দি বিধানসভার কেন্দ্রের অন্তর্গত পাড়ুগাঁও এলাকায় অবস্থিত মহাযোগী আথৈবাবার মন্দিরে এক কমিউনিটি হল নির্মাণের শিলান্যাস করেন। ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষারত এই অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নপূরণে এদিন এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়। এই প্রকল্পের জন্য বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছে। এরপর তিনি পাড়ি জমান বাজারিছড়া এলাকায়। এখানে শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দিরে এক আধুনিক রাঁধুনি কক্ষ নির্মাণের সূচনা করেন তিনি। এই রাঁধুনি কক্ষটি মন্দিরের নিয়মিত ভোগ প্রস্তুত এবং সামাজিক আয়োজনগুলিকে আরও সংগঠিতভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা।

সবশেষে বালিপিপলা গ্রামে অবস্থিত শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দিরে আরেকটি কমিউনিটি হল নির্মাণের শিলান্যাস করেন রীতা সিনহা। এই হল নির্মাণে ব্যয় হয় ৪ লক্ষাধিক টাকা। এই তিনটি প্রকল্পই স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্থানাভাবের কারণে বহুদিন ধরেই মানুষজন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এসব সমস্যার সমাধানে রীতা সিনহার এই উদ্যোগকে গ্রামবাসীরা স্বাগত জানায়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতা সিনহা বলেন, এই কাজ করার সুযোগ পেয়েছি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের সহযোগিতায়। তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা সমাজের শেষ প্রান্তে পৌঁছে কাজ করতে পারছি।

তিনি আরও বলেন, “বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বৃহত্তর বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি জনগণের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই সরকার অভূতপূর্ব অগ্রগতি এনেছে। এই দিনটির প্রতিটি অনুষ্ঠানে স্থানীয় মানুষজন ছাড়াও রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিজেপি পাথারকান্দি মণ্ডলের সভাপতি শশীবাবু সিনহা, রাধাপ্যারী জেলা পরিষদের সদস্যা বীণারানি সিনহা, ভুরুঙ্গা জিপি সভাপতি সঞ্জীব সিনহা এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের অন্যান্য সদস্য, স্থানীয় পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দ এবং উৎসাহী সাধারণ মানুষ। এই উদ্যোগে স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসাহ ও আনন্দের জোয়ার বইতে দেখা যায়।
তাঁরা জানান, বহুদিনের দাবিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান রীতা সিনহা ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একদিনে একাধিক ধর্মীয় ও সামাজিক প্রকল্পের সূচনা প্রমাণ করে যে, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সমাজের উন্নয়নের জন্য সরকার ও পর্ষদ কতটা আন্তরিকভাবে কাজ করছে। রীতা সিনহার নেতৃত্বে এমন উদ্যোগ আগামী দিনে বৃহত্তর জনগণের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই প্রত্যাশা।