সংসদে দিল্লি-শিলচর সরাসরি বিমান পরিসেবার দাবি তুললেন সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য

৩০ জুলাই : সংসদে বুধবার দৃঢ় কণ্ঠে শোনা গেল বরাক উপত্যকার এক দীর্ঘদিনের দাবি। শিলচরের সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য সংসদের অধিবেশনে সরাসরি শিলচর–দিল্লি বিমান পরিষেবা চালুর জোরালো দাবি জানিয়ে কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সাংসদ জানান, এই উড়ান সংযোগ শুধু একটি দাবি নয়, এটি হল জন-সুবিধা, আঞ্চলিক ভারসাম্য এবং জাতীয় সংহতির প্রশ্ন।

বর্তমানে শিলচর থেকে দিল্লি যেতে হলে যাত্রীদের কলকাতা বা গুয়াহাটি হয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়, যা সময় ও অর্থ উভয়ের অপচয় ঘটায়। সাংসদের মতে, এই অনুপস্থিতি ভ্রমণকারী ছাত্রছাত্রী, রোগী, সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের জন্য মারাত্মক অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি সংসদে বলেন, “এটি কেবলমাত্র যাতায়াতের সুবিধার প্রশ্ন নয়, এটি একটি ন্যায়সঙ্গত অধিকার।”

সাংসদ শুক্লবৈদ্য বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, শিলচর একমাত্র বড় শহর যা মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের কিছু অংশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার এবং এই অবস্থানে সরাসরি দিল্লি সংযোগ না থাকা গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নকে ব্যাহত করছে। তিনি বলেন, “এই পরিষেবা চালু হলে শুধু সময় সাশ্রয়ই নয়, এর প্রভাব পড়বে স্বাস্থ্য পরিষেবা, ব্যবসা ও প্রশাসনিক সমন্বয়ের ওপরও।”

তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ‘উড়ান’ (উড়ে দেশ কা আম নাগরিক) প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “এই প্রকল্পের আসল লক্ষ্য হল প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিমান সংযোগ সম্প্রসারণ। শিলচর-দিল্লি সরাসরি উড়ান সেই উদ্দেশ্য পূরণের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

পরিমল শুক্লবৈদ্যের এই দৃঢ় অবস্থান নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে তুলে ধরেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিবহন অবকাঠামো এবং দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেতুবন্ধনের গুরুত্ব। সংসদে তাঁর এহেন উদ্যোগে নতুন করে আশা জাগছে, শীঘ্রই শিলচরবাসী প্রত্যাশিত সরাসরি দিল্লি বিমান পরিষেবা পেতে পারে।

Spread the News
error: Content is protected !!